খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় মারমা শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে সহিংসতায় পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, দাঙ্গা ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় এক হাজারেরও বেশি অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার এলাকায় হত্যাকাণ্ড ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গুইমারা থানায় দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
গুইমারা থানার ওসি মো. এনামুল হক চৌধুরী জানান, মামলায় অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে দাঙ্গা সৃষ্টি, ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে খাগড়াছড়ি সদর থানায় আরও একটি মামলা হয়েছে। এতে ৬ থেকে ৭ শত জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহরিয়ার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা।
এদিকে, মারমা শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে আটক শয়ন শীলকে (১৯) ছয় দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। খাগড়াছড়ি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
ওসি এনামুল হক চৌধুরী জানান, গুইমারায় এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এখনো ১৪৪ ধারা বলবৎ আছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল অব্যাহত রেখেছে।
একইভাবে সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে।
