খুলনার পূর্ব রূপসা ঘাট ও বাসস্ট্যান্ডের দুই প্রান্তসহ বটতলা দখলদারিত্বের কবলে পড়েছে। অবৈধ দোকান, ভ্যান, মাহিন্দ্র ও যাত্রীবাহী বাস এলোমেলোভাবে স্থাপন থাকায় সাধারণ যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। প্রতিদিন রূপসা নদী পারাপার হয় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।
সরজমিনে দেখা গেছে, ঘাটের প্রবেশ মুখের দুই প্রান্তে প্রায় দুই শতাধিক ছোট দোকান বসেছে। বিদেশি সংস্থা জাইকার অর্থায়নে নদীর পার্শ্বে তৈরি করা পাকা আসন ও যাত্রী ছাউনি শেডও দখল হয়ে গেছে। বটতলার মনোরম পরিবেশ এবং সাধারণ মানুষের বসার স্থানও দখলদারদের হাতে চলে গেছে।
পূর্ব রূপসা ঘাটের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হলো বটতলা। এই বটতলার চারপাশে রয়েছে সাধারণ মানুষের বসার স্থান। বিভিন্ন সময় এই বটতলায় রাজনৈতিক প্রোগ্রামও হয়ে থাকে। অথচ দখলদাররা বাদ রাখেনি এই জায়গাটিও। এখানকার ফাঁকা জায়গাগুলি যে যেভাবে পারছে ছোট ছোট দোকান বসিয়ে দখল করে নিচ্ছে। সেই সাথে অলিখিত ভ্যান স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে এই জায়গাটি। পূর্ব রূপসা ঘাটের দুই প্রান্ত ও বটতলার আশেপাশে প্রায় দুই শতাধিক দোকান রয়েছে।
দিনের বেলা যেমন তেমন সন্ধ্যার পর ঘাটের প্রবেশ মুখসহ বাসস্ট্যান্ডের এই জায়গাটির পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে ওঠে। হরেক রকমের দোকানপাট ও মাদক ব্যবসায়ী এবং সেবনকারীদের আনাগোনা বাড়ে সীমাহীনভাবে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, বাসস্ট্যান্ড পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য গাড়ি প্রতি ২০ টাকা করে আদায় করা হলেও, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এ পরিস্থিতি বিশেষ করে সন্ধ্যার পর আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
রূপসা-বাগেরহাট বাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মহিউদ্দিন শেখ বলেন, পূর্ব রূপসা ঘাট ও বাসস্ট্যান্ডের দখলদারিত্ব ও অনিয়মের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন