কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় দিন দিন বেড়েই চলেছে মশার উপদ্রব। দিনের বেলাতেও মিলছে না মশার হাত থেকে রেহাই। উপজেলাবাসী বিশেষ করে সদর বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন।
সদর বাজারের প্রতিটি ড্রেনে ময়লার স্তূপ জমে দীর্ঘদিন ধরে পানি আটকে আছে। আর এসব জমে থাকা পানিতে জন্ম নিচ্ছে বিপুল পরিমাণ মশার লার্ভা। ফলে দ্রুত বাড়ছে মশার বিস্তার। ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা।
গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, তাড়াইল উপজেলার বিভিন্ন পুকুর, ডোবা ও ড্রেন কার্যত মশা তৈরির ‘কারখানায়’ পরিণত হয়েছে। সদর বাজারের প্রতিটি ড্রেনে বছরের পর বছর ময়লা জমে থাকায় সেখানে পানি আটকে আছে, যা এখন মশার লার্ভায় ভর্তি।
বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর মশার উপদ্রব আরও বেড়েছে। অথচ এখনো পর্যন্ত মশা নিধনে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বাজার এলাকায় নেই কোনো মশা নিধনের কার্যক্রম, নেই ওষুধ ছিটানোর ব্যবস্থাও।
সদর বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘মশার কামড়ে দোকানে বসা যাচ্ছে না। এ বছর মশার উপদ্রব এতটাই বেড়েছে যে, ব্যবসা চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। করোনার সঙ্গে যদি ডেঙ্গুর প্রকোপও শুরু হয়, তাহলে আর নিস্তার নেই।’
তারা আরও বলেন, ‘ফগার মেশিন দিয়ে রাস্তায়, ড্রেনে ও আশপাশের জলাবদ্ধ এলাকায় ওষুধ ছিটানো জরুরি। না হলে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হবে।’
উপজেলার সচেতন মহল মনে করছেন, ‘মশা নিধনে শুধু ওষুধ ছিটানো নয়, জনসচেতনতা বাড়াতেও প্রচার দরকার। মাইকিং করে মানুষকে ড্রেন ও পুকুর পরিষ্কার রাখতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী হাসিবুর রহমান নাদিম বলেন, ‘এটি আমাদের দেখভালের আওতায় পড়ে না। এ বিষয়ে এখনো আমাদের কাছে কোনো লিখিত চিঠি বা নির্দেশনা আসেনি। আমি খোঁজ নিয়ে তারপর জানাতে পারব।’
আপনার মতামত লিখুন :