বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ভিনদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৫, ০২:২৮ এএম

ইতিহাস গড়লেন সানায়ে তাকাইচি

ভিনদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৫, ০২:২৮ এএম

ইতিহাস গড়লেন সানায়ে তাকাইচি

তাকে জাপানের ‘আয়রন লেডি’ বলা হয়। জাপানের রাজনীতিতে নতুন ইতিহাস রচনা করলেন সানা তাকাইচি। দেশটির পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষ ও উচ্চকক্ষে অনুষ্ঠিত ভোটে জয়ী হয়ে তিনি জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে তাকাইচি হলেন জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং গত পাঁচ বছরে চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী। ১৯৬১ সালে নারা প্রিফেকচারে জন্মগ্রহণ করা তাকাইচি একজন সাবেক হেভি মেটাল ড্রামার হিসেবে একসময় আলোচনায় ছিলেন।

রাজনীতিতে আসেন ১৯৯০-এর দশকে এবং ১৯৯৬ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) অন্যতম প্রভাবশালী কণ্ঠস্বর। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও রাজনৈতিক উত্তরসূরি হিসেবে পরিচিত। তার নেতৃত্বে এলডিপি আরও রক্ষণশীল নীতিতে ঝুঁকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকাইচির ক্ষমতায় আসা এমন এক সময়ে ঘটছে, যখন এলডিপি বিভিন্ন কেলেঙ্কারি ও জনগণের আস্থাহীনতায় জর্জরিত। পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষে তাকাইচি পেয়েছেন ২৩৭ ভোট, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৩৩ ভোটের চেয়ে বেশি। পরবর্তীতে উচ্চকক্ষে তিনি ১২৫ ভোট পেয়ে জয়ী হন, যা তাকে নিশ্চিতভাবে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী করে তুলেছে।

জাপানে যেখানে সংসদের পাঁচজনের মধ্যে একজনেরও কম নারী সদস্য, সেখানে একজন নারীর প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক ঘটনা। তবে তার নেতৃত্ব নিয়েও রয়েছে সমালোচনা। বিবিসিকে এক তরুণী বলেন, ‘তার রাজনৈতিক বিশ্বাসগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তিনি বরং পিতৃতান্ত্রিক কাঠামোকেই টিকিয়ে রাখেন।’ এদিকে তাকাইচি নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে করা বিনিয়োগ চুক্তিকে তিনি সম্মান জানাবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকাইচির প্রশংসা করে তাকে ‘অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান ও দৃঢ়চেতা নেতা’ বলে অভিহিত করেছেন।

তাকাইচিও জবাবে বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জোটকে ‘আরও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ’ করতে এবং তাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। পার্লামেন্টে ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর তাকাইচির নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা এরপর রাজকীয় প্রাসাদে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এবং প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠক করবেন। বিবিসির খবরে বলা হয়, ১৯৬১ সালে নারা প্রিফেকচারে জন্মগ্রহণকারী তাকাইচির বাবা ছিলেন একজন অফিস কর্মী এবং তার মা একজন পুলিশ অফিসার। রাজনীতি তার থেকে ছিল অনেক দূরে। একসময় তাকাইচি ছিলেন একজন দক্ষ হেভি মেটাল ড্রামার। তিনি এত জোরে ড্রাম বাজাতেন যে, প্রায়ই স্টিক ভেঙে ফেলতেন। তাই তিনি সব সময় অতিরিক্ত স্টিক সঙ্গে রাখতেন। ১৯৮০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্র-জাপান বাণিজ্য বিরোধের সময় তিনি রাজনীতিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।

১৯৯৬ সালে টাকাইচি প্রথমবারের মতো লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তিনি মোট ১০ বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, পরাজিত হয়েছেন মাত্র একবার। ধীরে ধীরে তিনি এলডিপির অন্যতম স্পষ্টভাষী রক্ষণশীল নেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। দুবার ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর অবশেষে তিনি এলডিপির নেতৃত্বে নির্বাচিত হন, যা তার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদে নিশ্চিত হওয়ার ব্যাপারে ব্যাপকভাবে প্রত্যাশা করা হচ্ছে তাকাইচিকে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাকাইচির এই ইতিহাস রচনা জাপানের কাচের সিলিং ভেঙে ফেলার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে এখনো পুরুষেরা বেশির ভাগ ক্ষমতার অধিকারী।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!