ভারতে সাপে কাটা একটি শিশুর মরদেহ কলাগাছের ভেলায় করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। ওই শিশুর মরদেহ কুড়িগ্রামের দুধকুমার নদে এসে পৌঁছেছে।
রোববার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের দুধকুমার নদে গারুহারা ঘাটে ভেলাটি ভাসতে দেখতে পান স্থানীয়রা।
মরদেহের সঙ্গে থাকা মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে ফারুক খান নামে এক শিক্ষার্থী জানতে পারেন, শিশুটির মামা পরিচয়দানকারী অনকু দাস জানান যে শিশুটি ১০ জুলাই সাপের কামড়ে মারা যায়।
নতুন করে জীবন ফিরে পাওয়ার আশা নিয়ে মরদেহটি নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। এসব তথ্য জানার পর স্থানীয়রা লাশটি আর আটকাননি, বরং তা আবার নদীতে ভাসিয়ে দেন।
স্থানীয়রা জানান, কলাগাছের কিছু গুঁড়ি দিয়ে তৈরি একটি ভেলায় প্রায় ৬ বছর বয়সী শিশুটির মরদেহ ভাসছিল। মরদেহটি চাদর, মশারি এবং পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল, শুধু মুখটা দৃশ্যমান ছিল। ভেলাতে শিশুটির ছবি, নাম, ঠিকানা ও একটি ফোন নম্বর উল্লেখ করা ছিল।
উল্লেখিত ঠিকানায় দেখা যায়, শিশুটির নাম সুমীত দাস, পিতার নাম আকুমনি দাস, মায়ের নাম পদ্মা দাস। সেখানে ঠিকানা ছিল- ডেকাবঘাট লালবাড়ি, আসাম, ভারত।
যাত্রাপুরের গারুহারা এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী ফারুক খান বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলাগাছের ভেলায় শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখানে লাশের সঙ্গে একটি চিরকুট পেয়ে তিনি ওই নম্বরে যোগাযোগ করেন।
অপরপ্রান্ত থেকে সাড়া পাওয়া যায় এবং অনকু দাস নামে এক ব্যক্তি শিশুটির মামা পরিচয় দেন। তিনি জানান, ১০ জুলাই শিশুটি সাপের কামড়ে মারা গেলে তাকে কলাগাছের ভেলায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যার আব্দুল গফুর বলেন, ‘শুনেছি শিশুটি নাকি সাপের কামড়ে মারা গেছে। তার স্বজনরা তাকে একটি কলা গাছের ভেলায় ভাসিয়ে দেয়। দুুপুরের পর জানতে পেরেছি ভেলাটি ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসতেছিল।’