লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ ডিলারকে অবরুদ্ধ করে গুদাম থেকে সার লুটের অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ বলছে, তাদের অবরুদ্ধ করা হয়নি।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মেডিকেল মোড় গোল চত্বর এলাকায় মেসার্স ওয়াছেক খান সার বিক্রয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
কৃষক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লালমনিরহাটের ব্র্যান্ডিং পণ্য ভুট্টা চাষ। চলছে সেই ভুট্টা চাষাবাদের ভরা মৌসুম। জেলার সব থেকে বেশি ভুট্টার চাষাবাদ হয় হাতীবান্ধা উপজেলায়। ভুট্টা চাষের শুরুতেই সার সংকটের খবর পেয়ে চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এই সার নিয়ে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘটছে নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা।
আজ সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের চাষিদের জন্য বিসিআইসি ডিলার মেসার্স ওয়াছেক খান তার উপজেলা সদরের মেডিকেল মোড়ের গুদাম থেকে সার বিক্রি শুরু করেন। শুরুতেই চাহিদার চেয়ে সার কম পেয়ে কৃষকরা ফুঁসে উঠে মহাসড়ক অবরোধ করেন। প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম মিঞা আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনার সক্ষম হন।
ইউএনও’র দেওয়া নির্দেশনা মোতাবেক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের বসে কৃষকদের হাতে সারের স্লিপ বিতরণ শুরু করেন। সেই স্লিপ নিয়ে কৃষকরা ওই ডিলারের গুদাম থেকে সার নিয়ে যাচ্ছিল। তবে টিএসপি সার কম দেওয়ায় সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ একদল কৃষক ইউনিয়ন পরিষদে সার বিতরণে দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও ডিলারকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
একই সময় অপর একটি দল গুদামে গিয়ে হুড়োহুড়ি করে গুদামে ঢুকে বেশ কিছু বস্তা সার লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গুদামে উপস্থিত মেসার্স ওয়াছেক খানের মালিকের ছেলের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার রুমি বলেন, ‘এসে দেখি লোকজন সারের বস্তা জোরপূর্বক ভ্যানে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যে যার মতো লুট করেছে আমাদের গুদাম। তবে কত পরিমাণ লুট হয়েছে তা হিসাব না করে বলা যাচ্ছে না।’
হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহীন মো. আমান উল্লাহ বলেন, ‘অবরুদ্ধ হয়নি, কিছু লোক একটু হট্টগোল করেছিল টিএসপি সারের জন্য। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। সার লুটের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন