জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গোপালগঞ্জের কর্মসূচিতে হামলার পর মাদারীপুর জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) এনসিপির শীর্ষ নেতারা গোপালগঞ্জ থেকে মাদারীপুরের পথে আসার কথা থাকলেও পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় তাদের যাত্রা ব্যাহত হয়েছে।
মাদারীপুর জেলার প্রবেশদ্বার রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর, ঘটকচর, খাগদি, মোস্তফাপুর ও জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে র্যাব, সেনাবাহিনী ও পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে গোপালগঞ্জের সভাস্থলে যোগ দিতে টেকেরহাট হয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা প্রবেশ করেন। সভা শেষে ফেরার পথে গোপালগঞ্জে তাদের গাড়িবহরে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা, এমন অভিযোগ এনসিপির পক্ষ থেকে করা হয়েছে।
ঘটনার পর গোপালগঞ্জ থেকে মাদারীপুরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করতে পারেননি এনসিপির নেতাকর্মীরা। বর্তমানে তাদের গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের নিরাপত্তায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান করানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের গাড়িবহরে ছিলেন, দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, ডা. তাসনিম জারা, মেহেরাব সিফাতসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, মাদারীপুর জেলায় রাজনৈতিক সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলা এড়াতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে।