মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফুটপাতের এক হোটেল ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা না পেয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে জুলাই আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেরাব হোসাইনের (২৪) বিরুদ্ধে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর স্ত্রী সুফেনা আক্তার মানিকগঞ্জ সদর থানায় এ লিখিত অভিযোগ করেন। এর আগে সন্ধ্যায় তার দোকানে মেহেরাবের নেতৃত্বে ভাঙচুর করেন অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জন।
জানা গেছে, দুই বছর ধরে সুফেনা এবং রফিকুল ইসলাম দম্পতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হোটেল ব্যবসা করেছেন। তাদের এই হোটেলে কাজ করেন আরও পাঁচ থেকে সাতজন কর্মচারী। এ দম্পতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) বাবুর্চির কাজ করেন। জীবিকার তাগিদে বাবুর্চি কাজের পাশাপাশি লোকজন নিয়ে হোটেল ব্যবসা করেন তারা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জুলাই যোদ্ধা সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে মেহেরাব হোসেন এই হোটেলে চাঁদা দাবি করে আসছিল। দোকান মালিক রফিকুল ইসলাম চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিভিন্ন সময় তাকে গালাগাল ও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
আজকেও একইভাবে লোকজন নিয়ে এসে চাঁদা দাবি করে মেহেরাব। দোকান মালিক রফিকুল ইসলামকে না পেয়ে তারা আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং দোকানে থাকা কর্মচারীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে ক্যাশে থাকা ১৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
অভিযোগকারী সুফেনা আক্তার বলেন, অনেকদিন ধরেই সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে আমাদের দোকানে এসে চাঁদা দাবি করে মেহেরাব। একইভাবে তারা আজকেও দলবল নিয়ে এসেছে আমার দোকান ভাঙচুর করেছে। আমার স্বামীকে না পেয়ে ক্যাশে থাকা সারাদিনের বিক্রির ১৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে তারা। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। আমি চাই- এ রকম ঘটনা আর না ঘটুক, আমি তাদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেহেরাব হোসাইন বলেন, রফিকুল বৈষম্যবিরোধী মামলার আসামি। আমরা ২০-২৫ জন মিলে তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে পেছন দিক দিয়ে পালিয়ে গেছে। উল্টো তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। বঁটি দিয়ে আমার হাতে কোপ দিয়েছে। আমরা তার হোটেলে ভাঙচুর করিনি। ক্যাশের টাকাও নেইনি। আমাদের কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এস এম আমান উল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন