মৌলভীবাজারের বড়লেখায় খতিয়ান জালিয়াতির অভিযোগে উপজেলা ভূমি অফিসের সাবেক প্রধান সহকারী, এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং দুইজন ভূমি মালিকসহ চারজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ মে) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে এক ভূমি মালিক খতিয়ানের দুই দাগের জমি নামজারি করেন। কিন্তু উপজেলা ভূমি অফিসের তৎকালীন প্রধান সহকারী কাম ষাট মুদ্রাক্ষরিক রাসেন্দ্র কুমার দাস ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাব্য চন্দ বড় অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে খতিয়ানের সঙ্গে সরকারি ১/১ খতিয়ানের ‘খ’ তফসিলভুক্ত আরও একটি দাগের ১২ শতাংশ জমি জাল সই করে রেকর্ডভুক্ত করে দেন।
এতে সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মজিদ মিয়াও ঘুষের বিনিময়ে সহযোগিতা করেন এবং জালিয়াতির মাধ্যমে উন্নয়ন কর পরিশোধ সম্পন্ন করেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলা ভূমি অফিসের সাবেক প্রধান সহকারী কাম ষাট মুদ্রাক্ষরিক রাসেন্দ্র কুমার দাস (বর্তমানে কর্মরত শ্রীমঙ্গল উপজেলা ভূমি অফিসে), পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাব্য চন্দ এবং দুইজন ভূমি মালিক।
বৃহস্পতিবার সার্ভেয়ার শামসুল হুদার নজরে বিষয়টি আসার পর তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আসলাম সারোয়ারকে জানান। পরে এসিল্যান্ড অভিযুক্তদের ডেকে এনে পুলিশে সোপর্দ করেন। সার্ভেয়ার শামসুল হুদা বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় খতিয়ান জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আসলাম সারোয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভূমি মালিক তিনজন ও অফিসের দুইজন কর্মচারী মিলে খতিয়ান জালিয়াতি করেছেন—এমন প্রমাণ পাওয়ার পর তাদের চারজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।’
বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘গ্রেপ্তার চারজনকে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’