বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২৪, ০৭:০২ পিএম

মুন্সীগঞ্জে রেকর্ডভুক্ত খাল ভরাট করে বিক্রির চেষ্টা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২৪, ০৭:০২ পিএম

মুন্সীগঞ্জে রেকর্ডভুক্ত খাল ভরাট করে বিক্রির চেষ্টা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মুন্সীগঞ্জে শহরে অবৈধভাবে খাল ভরাট করে দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নয়াকান্দি গ্রামের ওই খালটির এপার-ওপারের মিলে ১১ শতাংশ জায়গা ভরাট করে দখল করেছে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার রমজানবেগ গ্রামের মৃত মেছবাহ উদ্দিন বেপারীর ছেলে রতন বেপারী ও পাঁচঘরিয়া কান্দি গ্রামের মৃত মোতাহের হোসেনের ছেলে আবুল খায়ের টুকু (মেম্বার)। তারা দু’জনে মিলেমিশে খাল ভরাট করে বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছে। অথচ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রকাশ্যে খাল ভরাট করে দখলে নেয়ায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

খালটি মুন্সীগঞ্জ শররের ৯নং ওয়ার্ডের পাঁচঘগিয়া কান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নয়াকান্দি গ্রামের মধ্য খানে অবস্থিত। খাল সংস্কার ও পুন উদ্ধারে প্রশাসনের কোনো যুগান্তকারি পদক্ষেপ না থাকায় দখল-দূষনের মতো ঘটনা ঘটছে বলে সচেতন মহলের দাবি।

তারা বলছেন, রেকর্ডভুক্ত এ খালটি ক্রমশই অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নকশায় মাত্র খাল, বাস্তবে তেমটি নেই। ব্যক্তি মালীকানা হলেও খাল শ্রেণী ও ডোবা শ্রেণী দখল তো দূরের কথা জনগণ চাইলেও ভরাট করতে পারে না। সুতরাং রেকর্ডভুক্ত খাল কোনোভাবে ভরাট করে দখল করতে পারে না।

জানা গেছে, আবুল খায়ের টুকু মেম্বার প্রায় প্রায় ২৫ বছর আগে সানাথাম ধর্মালম্বীদের কাছ থেকে জায়গাটি ক্রয় করে। তবে কার কাছ থেকে ক্রয় করেছি তার কোনো সঠিক তথ্য নেই। পরে টুকু মেম্বার আর রতন বেপারী দুইজনে মিরে নিজেদের জায়গা ভরার করার নামে গেলো ১৫-২০ ধরে রাতে আধাঁরে ড্রেটার মাধ্যমে এ খালটি ভরাট করে ফেলে। এখন তারা ভরাট করা জমিটি অন্যত্র বিক্রি করার কথা রয়েছে। এছাড়া রাস্তার পাশে দুটি বড় বড় কড়ইগাছও কেটেও বিক্রি করে ফেলেছেন।

তবে খাল ভরাট করে দখল নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে রতন বেপারী বলেন, পাঁচঘড়িয়া কান্দি গ্রামের আবুল খায়ের টুকু মেম্বারের জায়গা এটি। সে আমাকে টাকা দিয়েছে, আমি জায়গাটি ভরাট করে দিয়েছি। এছাড়া আমার সাথে এই জায়গার কোনো সম্পর্ক নেই।

এবিষয়ে অভিযুক্ত আবুল খায়ের টুকুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সম্পত্তি আমি ২৫ বছর আগে হিন্দুদের কাছ থেকে ক্রয় করেছি। তবে কার কাছ থেকে কিনেছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য ও দিতে পারেনি। আরএস পর্যায় এটি সরকারি খালে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন তিনি।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলাম। দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!