মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নে জনবহুল গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াতের রাস্তাটি ভাঙা। টেংগারচর থেকে বড় ভাটেরচর ভায়া জামালদি স্টান্ড যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। জামালদী স্ট্যান্ড থেকে টেংগারচর গ্রামে প্রবেশ করতে বড় ভাটেরচর গ্রাম হয়ে টেংগারচর ব্রিজ এর ঢালে সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভাঙন। সংস্কারের জন্য একাধিক দপ্তরে জানানো হলেও গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন দুর্ভোগের শিকার ভোক্তোভোগী এলাকাবাসী।
জানা যায়, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন উপজেলার জামালদী বাসস্ট্যান্ড থেকে এই সড়ক হয়ে টেংগারচর ইউনিয়নের সবকটি গ্রাম, উপজেলা পরিষদ কার্যালয়, রসুলপুর ফেরিঘাটে যাতায়াত করে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ, চলে পণ্যবাহী ছোট বড় পরিবহন। গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ভাঙনে যানবাহনগুলো চলাচলে দুর্ভোগ লক্ষ করা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেঘনা ব্রিজ-সংলগ্ন জনবহুল জামালদী বাসস্ট্যান্ড থেকে রাস্তাটি গজারিয়া উপজেলা পরিষদ হয়ে রসুলপুর ফেরিঘাট, মুন্সীগঞ্জ জেলা শহর এবং চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর তথা চাঁদপুর জেলার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। প্রতিদিন শত শত সিএনজি, মিশুক, পিকআপসহ অসংখ্য গাড়ি এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। তা ছাড়া ও এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির ব্রিজের ডালে ভাঙনের কারণে দুটি সিএনজি বা মালবাহী গাড়ি একসাথে আসা-যাওয়া করতে পারে না। স্থানীয় সব শ্রেণিপেশার মানুষের দাবি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে জনস্বার্থে দ্রুত সময়ে সড়কের সংস্কার করা হোক।
স্থানীয়, সোহেল, নজরুল ইসলামসহ, একাধিক ব্যক্তি জানান, আরও দু-তিন পূর্ব থেকে এখানে ভাঙন। তবে গেল দুই তিন মাস যাবৎ এ ভাঙন ভেরে চরমে পৌঁছায়। ব্রিজের ঢালে ভাঙনে দেখার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর নিকট সংস্কারের জন্য বলা হয়েছে। আগে এক পাশে ভাঙন কিছুটা কম ছিল এখন দুই পাশে ভাঙন দেখা দিয়েছে বিরাট বড় আকারে। এমন চলতে থাকলে হয়তো আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এ রাস্তা সম্পূর্ণ ভেঙে পৃথক হয়ে যাবে। ভাঙনের কারণে প্রতিনিয়ত যানচলাচল দুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা ঘটছে।
অটোরিকশা চালক আল আমিন জানায়, দীর্ঘদিন এ রাস্তা বেহাল, ব্রিজের ঢালে এ ভাঙনের কারণে গাড়ি নামার সময় এবং উঠার সময় রিসক নিয়ে চালাতে হয়। যেহেতু সেতুর ঢালে গাড়ি ওঠানো কিংবা নামার সময় ব্রেক করা যায় না। তাছাড়া এখানে দুটি গাড়ি এক সঙ্গে ক্রস করা যায় না।
যাত্রী মাহমুদা বেগম জানান, ‘অনেক দিন হলো এমন অবস্থা—কী করব, কর্তৃপক্ষ দেখে না! ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে।’ আরেক যাত্রী রুবেল খাঁন জানান, ‘প্রতিদিন এ রাস্তা ব্যবহার করে জামালদী স্ট্যান্ডে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যাই। ঝড়বৃষ্টি যা-ই হোক, রাতে বাড়ি ফিরতে হয়, তবে বর্তমানে রাস্তার দশা খুব খারাপ।’
টেংগারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ফরাজি জানান, তিনি চাহিদায় আবেদন দিয়েছেন। তা ছাড়া উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন। তা ছাড়া বহুদিন ধরে একাধিক পত্র-পত্রিকায় এই জনদুর্ভোগ নিয়ে নিউজ হয়েছে।
গজারিয়া উপজেলা প্রকৌশলী সামিউল আরেফিন বলেন, ‘কিছুদিন পূর্বে টেংগারচর ইউনিয়ন পরিষদে ওপেন হাউস ডে-তে স্থানীয়রা ওই ভাঙন সংস্কারের কথা বলেন। চেয়ারম্যান সংস্কারের কথা ছিল। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম সড়কে ভাঙন রয়েছে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু হবে।’