নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে ইরাদত শিকদার নামে একজনকে পিটিয়ে ও কুপে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। আহত ইরাদত শিকদার কালিয়া উপজেলার চাচুড়ি ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের আদিল শিকদারের ছেলে।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কদমতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ইরাদত শিকদার অভিযোগ করেন, ‘আমরা লক্ষ্মীনারায়ণদের কাছ থেকে প্রায় ৫০-৬০ বছর আগে জমি কিনে সেই জমিতে বসতবাড়ি করে বসবাস করছি। জমি দখলেও আমরা রয়েছি। আজ সকালে আমাদের জমিতে প্রতিবেশী তৌহিদ গংরা ঘর নির্মাণ করতে আসে। এ সময় আমরা ঘর নির্মাণে বাধা দিলে আমি ও আমার ছোট ভাই নাজির শিকদারকে তৌহিদ শেখ (৬০), মো. তরিকুল শেখ (৪৫), মো. মোজাহের শেখ (৫৫), মো. আজাহের শেখ (৫৭), মো. রুবেল শেখ (৩৫), মো. মাহাত্তাব শেখ (৬০), মো. খায়রুল শেখ (৩০), মো. আশরাফুল শেখ (২৫) এসব ব্যক্তি কুপে ও পিটিয়েছে। আমরা তাদের বিচার চাই।’
লক্ষ্মীনারায়ণ দে বলেন, ‘ইরাদত শিকদাররা অনেক আগে আমাদের কাছ থেকে ওই জমি কিনেছেন। তৎকালীন সময়ে তাদের কাছে জমির দলিল করার মতো টাকা না থাকায় তখন তারা জমি দলিল করতে পারেনি। এখন তৌহিদ গংরা কীভাবে ডিসি-আর নিয়ে ওই জমি দাবি করছে, তা বোঝা যাচ্ছে না, তবে জমি তাদের নয়।’
অভিযুক্ত মাহাত্তাব শেখ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মারামারি ওই পাড়ায় হয়েছে, আমি সেখানে ছিলাম না। কী হয়েছে, কী হয়নি, তা আমি জানি না।’
তৌহিদ শেখ বলেন, ‘ডিসি-আর মূল অনুযায়ী এই জমির মালিক আমি। তারা কিছুই না। সকালে ঘর নির্মাণের সময় তারা বাঁধা দিতে আসলে ধাক্কাধাক্কির মধ্যে ইরাদতের মাথায় টিনের ফোছ লেগে কেটে যায়। তাকে কুপানো বা পিটানো হয়নি।’
কালিয়া থানা পুলিশের ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



