বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম

২৮ কেজি গাঁজার ২১ কেজিই উধাও, এসআই ক্লোজড

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম

উদ্ধারকৃত গাঁজা।      ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

উদ্ধারকৃত গাঁজা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নাটোরের বড়াইগ্রামে ১৪টি প্যাকেটে মোড়ানো প্রতিটিতে ২ কেজি করে মোট ২৮ কেজি গাঁজা গুনে গুনে উদ্ধার করা হলেও থানায় তা মাত্র ৭ কেজি দেখিয়ে জব্দ করা হয়েছে। বাকি ২১ কেজি উধাও। 

এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা অনুসন্ধান চালিয়ে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নজরে আসে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বড়াইগ্রাম-লালপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শোভন চন্দ্র হোড় গাঁজা উদ্ধারের ঘটনাকে রহস্যাবৃত উল্লেখ করে উদ্ধারকারী কর্মকর্তা বনপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাককে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান।

এর আগে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের ছাতিয়ানগাছা মোল্লাপাড়া মোড়ে একটি কাভার্ডভ্যান আটক করে পুলিশ। এ সময় ভ্যানের ভেতরে থাকা কালো মোটা পলিবস্তা খোলা হলে গাঁজাভর্তি স্বচ্ছ পলিথিনের ১৪টি প্যাকেট পাওয়া যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের উপস্থিতিতে পুলিশ সেগুলো জব্দ করে।

কিন্তু পরদিন সকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারোয়ার হোসেন জানান, ৭ কেজি গাঁজাসহ কাভার্ডভ্যান আটক ও চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলে তিনি দাবি করেন, উদ্ধারকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রাজ্জাক ১৪টি প্যাকেটে (প্রতিটি ৫০০ গ্রাম) মোট ৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে থানায় জমা দিয়েছেন।

তবে স্থানীয়দের ও সাংবাদিকদের তথ্য অনুযায়ী জব্দ করা গাঁজার ওজনের সঙ্গে থানায় দেখানো ওজনের বড় ধরনের গরমিল পাওয়া যায়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে এসআই আব্দুর রাজ্জাককে ক্লোজ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী আসাদুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে কাভার্ডভ্যান থেকে দুজন লোক একটি বড় পলিবস্তা নামাচ্ছিলেন। চোর সন্দেহে ধাওয়া দিলে তারা বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়। গ্রামবাসী ভ্যান ও চালককে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে প্রায় ২৮ কেজি গাঁজা জব্দ করে।

স্থানীয় নজরুল ইসলাম ও মুস্তাক হোসেন জানান, আমরা নিজেরাই গুনে ১৪টি পলিথিন ব্যাগ ভর্তি গাঁজা পুলিশকে বুঝিয়ে দেই। প্রতিটি ব্যাগ অন্তত ২ কেজির কম নয়।

অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীরাও জানান, বস্তার ওজন দাঁড়িপাল্লায় মাপলে ৩০ কেজির কম হওয়ার সুযোগ ছিল না। কিন্তু পুলিশ দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করতে দেননি। পরে থানায় গিয়ে জানতে পারেন, সেখানে মাত্র ৭ কেজি গাঁজা জব্দ দেখানো হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকরা এসআই আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারোয়ার হোসেন জানান, এ ব্যাপারে চালকসহ ৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা হলেন- চালক লালমনিরহাটের সিংগাদার গ্রামের রশিদ মন্ডলের ছেলে সায়েম মন্ডল (৩৪), মাদক ব্যবসায়ী নাটোরের বড়াইগ্রামের ছাতিয়ানগাছা গ্রামের পিয়ার আলীর ছেলে আশরাফ আলী (৪৫) ও লালপুরের গোধরা গ্রামের কৈয়রা প্রামাণিকের ছেলে ফয়েজুল্লাহ প্রামাণিক (৪৮)। চালককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নাটোর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে।  

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!