নাটোরের লালপুরে কদিমচিলান ভূমি অফিসের সরকারি জায়গার একমাত্র রাস্তা দখল করে আনুমোদন না নিয়ে বাড়ি ও দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর লালপুরের কদিমচিলান বাজার ও ভূমি অফিসসংলগ্ন কদিমচিলান ভূমি অফিসের সরকারি একমাত্র রাস্তার ১ নম্বর খতিয়ানের ৪০১ নম্বর দাগে কদিমচিলান গ্রামের মজিরউদ্দিনের ছেলে সানোয়ার হোসেন (সানা) ৩টি দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন। একই খতিয়ানের কদিমচিলানের রান্টু নামের একজন ভূমি অফিস রাস্তাসংলগ্ন (৪০১) নম্বর দাগে ২ ঘরবিশিষ্ট টিনশেড বাড়ি নির্মাণ করেছেন। ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা নিষেধ করলেও তারা শোনেননি বলে জানা গেছে।
সানোয়ার হোসেন (সানা) বলেন, ‘আমার জায়গায় আমি দোকান নির্মাণ করেছি।’ কাগজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার কাছে কোনো কাগজপত্র নেই। রান্টুর কাছে জানতে চাইলে সরকারি জায়গায় বাড়ি নির্মাণ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা নিজেদের দখলে থাকা জায়গায় বাড়ি করেছি।’
পার্শ্ববর্তী জমির মালিক হারুনুর রশিদ জানান, ভূমি অফিস যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি, প্রভাব খাটিয়ে সরকারি রাস্তা দখল করে সানা ও রান্টু টিনশেড বাড়ি ও দোকান নির্মাণ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করার পরেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। রাস্তাটি দখলমুক্ত হলে শুধু ভূমি অফিস নয়, সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়, হাই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধা হবে।
কদিমচিলান ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মিনহাজুল আবেদীন বলেন, ‘রান্টু ও সানা ভূমি অফিসের রাস্তা দখল করে বাড়ি ও দোকান ঘর নির্মান করেছে। উপজেলা ভূমি অফিস থেকেও রাস্তা দখলমুক্ত করার নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। নোটিশের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। তারপরও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। মার্কেট নির্মাণের আগে রাস্তার জায়গাসহ সরকারি সার্ভেয়ার দ্বারা সীমানা নির্ধারণ করার পরেও কিছুই হয়নি। আমি নিষেধ করেছি, শোনেনি তারা।’
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মেহেদী হাসান জানান, ‘এসি-ল্যান্ড এ বিষয়ে কাজ করছে। স্থাপনা সরানোর জন্যে নোটিশ পাঠিয়েছে। যারা সরকারি ভূমি অফিসের রাস্তা দখল করেছে, তাদের রাস্তা দখলমুক্ত করার জন্যে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার পরেও যদি স্থাপনা না সরিয়ে ফেলে, ভূমি আইনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

