নেত্রকোনায় একজন স্থানীয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক সমাজে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং ন্যায়সংগত তদন্তের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, নেত্রকোনা গত ১৩/১১/২৫ তারিখে স্থানীয় এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে উক্ত মামলা গ্রহণ করেন। এর আগে ২৬/৮/২৫ তারিখে জাতীয় দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকায় “সৌদিতে গিয়ে বিপাকে নেত্রকোনার ৬ যুবক” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি প্রকাশের পর অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদনের তথ্যকে ‘সত্য’ বলে নিশ্চিত করে।
এরপরই ওই এলাকার এক আদম ব্যবসায়ীর সহযোগী শরাফ উদ্দীন খান পাঠান সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৩ নম্বর বিবাদীর সহযোগিতায় তার মেয়ে তাইবা আক্তারকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত সাংবাদিক সুমন রাহাত বলেন—“আমি শুধুমাত্র পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছি। জনস্বার্থে তথ্য প্রকাশ করা সাংবাদিকতার অংশ। ২৩/৭/২৫ তারিখে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বিলজোড়া গ্রামের সাবিনা আক্তার মানবপাচার দমন ট্রাইব্যুনালে আল আমিন নামে এক আদম ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে আমি ২৬/৮/২৫ তারিখে সংশ্লিষ্ট সংবাদ প্রকাশ করি। এই সংবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে দালাল আল আমিনের সহযোগী শরাফ উদ্দীনকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, হয়রানিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা করা হয়েছে। মামলা দিয়ে সত্য আড়াল করা সম্ভব নয়।”
স্থানীয় সাংবাদিক সমাজও মামলাটিকে “মিথ্যা ও হয়রানিমূলক” দাবি করে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার এবং সাংবাদিকদের নিরাপদে কাজ করার পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
ঘটনাটি বর্তমানে স্থানীয় জনমনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সচেতন মহলের মতে, ন্যায়সঙ্গত তদন্ত এবং সাংবাদিকের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন সময়ের দাবি।

