চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টার পৃথক অভিযানে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ নভেম্বর) পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ও জেলা পুলিশ।
সিএমপির সহকারী কমিশনার (জনসংযোগ) আমিনুর রশিদ জানান, নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে হালিশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোরশেদ ও ছগিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। মোরশেদের বিরুদ্ধে ৪টি অস্ত্র মামলাসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে।
এদিকে, রাউজান উপজেলায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও রাউজান থানা পুলিশ পৃথক অভিযানে দুটি ডাকাত চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি একটি বিদেশি পিস্তল পুকুর সেচ দিয়ে উদ্ধার করা হয়।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল জানান, রোববার দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার মৌলভীখীল এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে হুমায়ুন উদ্দিন আকাশ ওরফে লেদাইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেখানো মতে রাউজানের মকবুল আহমেদ সওদাগরের বাড়ির পাশের ঝোপ থেকে একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
সোমবার ভোরে রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নে আরেকটি অভিযান চালানো হয়। এ সময় হত্যা, ডাকাতি ও বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শাহ আলমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করলে তিনি হাতে থাকা একটি বিদেশি পিস্তল পুকুরে নিক্ষেপ করে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে তাকে আটক করে তার ঘর তল্লাশি করে চারটি দেশীয় এলজি, কার্তুজ ও গুলির খোসা উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে ডিবি ও রাউজান থানা পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুকুর সেচ দিয়ে শাহ আলমের নিক্ষেপ করা বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, শাহ আলমের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও অপহরণসহ মোট ৯টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার দুজনকে থানায় হস্তান্তরের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।



