ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডে এ বছর কমেছে পাশের হার ও জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা। এ বছর এইচএসসিতে পাসের হার ৫১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৬৮৪ জন।
গত বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৮২৬ হাজার। এবার ১৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করতে পারেনি। তিন প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ফলাফল জানিয়েছেন বোর্ডের পরীক্ষা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল্লাহ।
তিনি বলেন, বোর্ডের চার জেলার ৩০৬ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭৫ হাজার ৮৫৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩৯ হাজার ৯৬ জন। বোর্ডের অধীনে চার জেলার মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় পাসের হার ৫৫.৪৬ শতাংশ, শেরপুর জেলায় ৪৮.৬৯ শতাংশ, জামালপুর ৪৭.৪১ শতাংশ ও নেত্রকোণায় ৪৭.৩৯ শতাংশ।
বিজ্ঞান বিভাগে ৭৬.৯০, মানবিকে ৪৫.৬৪ ও ব্যবসায় শিক্ষায় ৪১.১২ শতাংশ। বোর্ডে শতভাগ কৃতকার্য প্রতিষ্ঠান ৩ টি ও শতভাগ অকৃতকার্য প্রতিষ্ঠান ১৫ টি।
তিনি আরো বলেন, শতভাগ অকৃতকার্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ক্লাসে অমনযোগী এবং অনিয়মিতের কারণে ফলাফল খারাপ হয়েছে। আগামীতে ভালো করার লক্ষ্যে সকল ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এদিকে ফল প্রকাশের পর ময়মনসিংহের সেরা কলেজগুলোতে উল্লাসে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
নগরীর শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে এবছর ১৩৬২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৩০২ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৯৮ জন। ফলাফল ঘোষণার পর আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী সিফাত উল্লাহ বলেন, বরাবরের মত এবারও আমাদের কলেজ ভালো ফলাফল করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমিও জিপিএ-৫ পেয়েছি। কৃতজ্ঞতা জানাই স্যারদের প্রতি তারা যেভাবে আত্মরিকতার সহিত আমাদের পড়িয়েছেন।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজেন শিক্ষক এনায়েতুর রহমান বলেন, এবার বোর্ডেই রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। সেই তুলানায় আমরা ভালো করেছি। কিন্তু আরও ভালো হওয়ার দরকার ছিল। নানা কারণে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার প্রতি আনমনা থাকায় এমন হয়েছে। ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামীতে আরও ভালো করার চেষ্টা করব।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন