ঢাকা রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫

বেড়ায় সংঘর্ষে ১ জনের মৃত্যু, ১৪৪ ধারা জারি

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৫, ০১:২১ পিএম
চাকলা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করেছে বেড়া উপজেলা প্রশাসন। ছবি- সংগৃহীত

পাবনার বেড়ায় মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৬ জুলাই) সংঘর্ষে আহত এক ব্যক্তির মৃত্যুর জেরে অন্তত ৪-৫টি বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শনিবার রাত থেকে এলাকাজুড়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।

এ অবস্থায় সম্ভাব্য নতুন সহিংসতা এড়াতে প্রশাসন উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।

১৪৪ ধারা জারির ঘোষণা

রোববার (২৭ জুলাই) সকালে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে জানানো হয়, ‘২৭ জুলাই সকাল ১০টা থেকে ২৮ জুলাই সকাল ১০টা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে।’

এই সময়ের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও লাঠি বহন, প্রদর্শন, মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা ততধিক ব্যক্তি একত্র হওয়া, সভা-সমাবেশ ও মিছিল আয়োজন নিষিদ্ধ থাকবে।

ঘটনার বিবরণ

স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে তারাপুর গ্রামে একটি পুরোনো মসজিদে মিলাদ মাহফিলে কিয়াম পড়া নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। ওই ঘটনায় তৎকালীন মসজিদের ক্যাশিয়ার মতিনসহ একপক্ষ কিয়ামের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আলাদা নতুন মসজিদ নির্মাণ করেন।

সম্প্রতি ওই নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণ শুরু করলে, অন্য পক্ষ তা বাধা দেয়। গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে নির্মাণকাজ শুরুর সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দেশীয় অস্ত্র-হাঁসুয়া, টেঁটা ও লাঠি- নিয়ে সংঘর্ষে জড়ালে অন্তত ৩০ জন আহত হন।

পরদিন শনিবার (২৬ জুলাই) আহতদের মধ্যে হাদিস নামে একজনের মৃত্যু হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এতে প্রতিপক্ষের কয়েকটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

অবশ্য স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এরপরও এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

প্রশাসন বলছে, তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনে সময়সীমা বাড়িয়ে ১৪৪ ধারা কার্যকর রাখা হবে।