মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম

‘অবাধ্য’ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে পায়ে শিকল পরিয়ে পাঠদান!

পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভান্ডারিয়া ইউএনও রেহেনা আক্তার। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভান্ডারিয়া ইউএনও রেহেনা আক্তার। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার একটি কওমি মাদ্রাসার নাজেরা শাখার এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে পায়ে শিকল বেঁধে পাঠদানের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহেনা আক্তার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, উপজেলার ধাওয়া দারুল উলুম হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসার নাজেরা শাখার ছাত্র ওসমান মল্লিকের পায়ে শিকল বেঁধে পাঠদান করা হচ্ছে। খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পান।

বিষয়টি জানতে পেরে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহেনা আক্তার ধাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক, পুলিশ ও স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্যকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে শিশু ওসমানকে শিকল মুক্ত করে।

মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, ওসমান মল্লিক নামে ওই শিক্ষার্থী ইতোমধ্যেই দুই দফা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি গেছে। এ কারণেই শিশুটির পায়ে তালাবদ্ধ শিকল বেঁধে রাখা হয়েছিল। শিশুটি পায়ে ব্যথা অনুভব করলেও তার খুলে দেওয়া হয়নি। অবাধ্য হওয়ার কারণে এভাবেই চলছিল পাঠদান।

ভুক্তভোগী শিশু ইয়াসিন মল্লিক ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের কালাম মল্লিকের ছেলে। সে ওই মাদ্রাসার নাজেরা শাখায় আবাসিক ছাত্র হিসেবে পড়ালেখা করছে।

সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার নাজেরা শাখার শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া দাবি করেন, শিশুটি দুই দফা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পর বড় ভাই আবুবকর মল্লিক শিকল ও তালা দিয়ে যান। তার কথামতো শিশুটির এক পায়ে শিকল পরাতে হয়েছিল। তবে শিশুটিকে শিকল মুক্ত করা হয়েছে।

শিশু ইয়াসিনের বড় ভাই আবু বকর বলেন, ‘ওসমান মনোযোগ দিয়ে পড়তে চায় না। দুবার মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে গেছে। এ কারণে মাদ্রাসায় পায়ে শিকল তালাবদ্ধ করে রেখে এসেছিলাম। পরে শিক্ষকরা তার শিকল অবমুক্ত করে দিয়েছে।’

ভাণ্ডারিয়া থানার এসআই মো. কাইয়ূম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই শিশুটির পায়ের শিকল খুলে দেওয়া হয়েছে। শিশুটির অভিভাবক ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে এমন কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!