রাজবাড়ীর পাংশা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ফরিদপুর কার্যালয়ের একটি টিম ছয় ঘণ্টা অভিযান চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুদকের ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সরকারি ফি’র বাইরে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সরকারি ফি’র সঙ্গে অতিরিক্ত ১২ শতাংশ টাকা আদায় করা হচ্ছিল। এ ছাড়া এক নকল নবিস পে-অর্ডারের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।’
অভিযানের সময় একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের শতভাগ সত্যতা পাওয়া গেছে দলিল লেখক আব্দুর রহমান কালুর বিরুদ্ধে। তবে সাব-রেজিস্ট্রারের কোনো অনিয়ম ধরা পড়েনি।
মো. মোস্তাফিজুর রহমান আরও জানান, ‘দলিল লেখক সমিতিকে কিছু বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অফিসে সরকারি ফি’র বাইরে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ ছিল।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে সাব-রেজিস্ট্রার মো. মোমেন মিয়া বলেন, ‘অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। এটি দলিল লেখকদের দায়িত্ব। সরকারি ফি শুধুমাত্র পে-অর্ডারের মাধ্যমে নেওয়া হয়।’
তবে তার বিরুদ্ধে ওয়ারিশ ক্রমিক দলিলপ্রতি অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা, নামের বানান ভুলের জন্য দলিলপ্রতি ১ হাজার টাকা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমি রেজিস্ট্রেশনে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ থাকলেও তিনি তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন