শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫, ১১:২১ এএম

মৃত মানুষকে পোড়ানো অন্যায় ও অমানবিক : জেলা আমির

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫, ১১:২১ এএম

জেলা আমির অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম। ছবি- সংগৃহীত

জেলা আমির অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম। ছবি- সংগৃহীত

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মাহাদী’ দাবি করা নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবার শরীফে হামলা, মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেওয়া এবং লুটপাট-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও রাজবাড়ী জেলা আমির অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম। তিনি এ ঘটনাকে অন্যায়, অমানবিক ও মানবতার পরিপন্থি বলে অভিহিত করেছেন।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানান।

নুরুল ইসলাম বলেন, লাশ মাটি থেকে তুলে পোড়ানো আমার জীবনে কখনো শুনিনি, দেখিনি। এটি ন্যক্কারজনক ও ঘৃণিত ঘটনা। মৃত মানুষকে পোড়ানো কিংবা বাড়িঘর লুট করা সম্পূর্ণ অন্যায় ও অমানবিক। এ ঘটনার সঙ্গে আমাকে জড়ানো এবং প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

নুরুল ইসলাম আরও জানান, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সর্বদলীয় ও সর্বমহলের ইমান আকিদাহ সংরক্ষণ কমিটির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, শুক্রবার বাদ জুমা কোনো মিছিল হবে না, শুধু সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তিনি নিজেও ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে বিষয়টি স্পষ্ট করেন। তবে সেখানে মিছিল হবে, সেটি তার অজানা ছিল বলে দাবি করেন।

তিনি আরও লিখেন, ব্যক্তিগতভাবে বিএনপির দুই গ্রুপ, ইমান আকিদাহ সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা জালালসহ অন্য নেতাদেরও আমি মিছিল না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। তারা আলোচনা করে পরে জানাবে বলে আশ্বস্ত করেছিল। তাই হামলা বা মিছিলের বিষয়ে আমাকে দায়ি করা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

স্ট্যাটাসে জেলা আমির গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মৃত মানুষকে পোড়ানো ইসলাম, মানবতা ও নৈতিকতার পরিপন্থি কাজ। এমন ঘটনা শুধু সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করে না, বরং চরম অস্থিরতা তৈরি করে। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে যেকোনোভাবে আমাকে জড়ানো অন্যায়।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা গোয়ালন্দ উপজেলার বিবাদমান নুরাল পাগলার দরবার শরীফে হামলা চালায়। অভিযোগ ওঠে, শরীয়তবিরোধী পদ্ধতিতে নুরাল পাগলাকে দাফন করা হয়েছে। এ অভিযোগের জেরে বিক্ষুব্ধ জনতা কবর থেকে মরদেহ তুলে আগুন দেয়। এ সময় দরবার শরীফে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ হয়।

এ ঘটনায় অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন এবং রাসেল মোল্লা নামের এক যুবক নিহত হন। বর্তমানে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

Link copied!