বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৪, ১০:৩২ পিএম

তানোরে কোর্ট এভিডেভিডে তালাক টাকা আদায়ে মেয়ের তালবাহানা

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৪, ১০:৩২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর তানোরে  কোর্ট এভিডেভিডে দেন মোহরের পুরো টাকা পরিশোধ করে তালাক হয়। কিন্তু ছেলের পরিবারকে বেকায়দায় বা পুনরায় মোটা অংকের  টাকা আদায়ের জন্য মেয়েসহ একটি চক্র নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করছেন। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন ইউপির দমদমা গ্রামে ঘটে রয়েছে এমন ঘটনা। এমন অমানবিক  চাপে ছেলে এক প্রকার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। 

এঘটনায় মেয়েসহ পরিবারের উপর চরম ভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসী। এভিডেভিডে উল্লেখ, চলতি বছরের জুলাই মাসের ৮ তারিখে কামারগাঁ ইউনিয়ন ইউপির দমদমা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে সোহানুর রহমানের সাথে একই গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে লিজা খাতুনের ৫০ হাজার টাকা দেন মোহরানা ধার্যে কোর্ট এভিডেভিড করে বিবাহ সম্পন্ন হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে নানা কারনে সংসারে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। এমন পরিস্থিতি তে উভয়ের সম্মতিতে চলতি মাসের ২০ আগস্ট সোমবার দেন মোহরের পুরো টাকা পরিশোধ করে কোর্ট এভিডেভিডের মাধ্যমে তালাক হয়।

আরো উল্লেখ, সাংসারিক অসান্তির কারনে উভয়ে উভয়কে খোলা তালাকের মাধ্যমে পরিত্যাগ করা হয়।  বিবাহের দেনমোহর ও ইদ্দত কালীন খোরপোষ ও দেনা পাওনা সমস্ত বুঝিয়া পায় মেয়ে লিজা। অদ্য হতে স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক চিরতরে ছিন্ন করিলাম এবং একে অপরকে স্বামী স্ত্রী বলে দাবি করতে পারবনা। অন্যত্র বিয়ে করতেও কেউ কোন  সমস্যা সৃষ্টি করতে পারবেনা।

এদিকে তালাকের পর ছেলে সোহানুরের পরিবারের কাছ থেকে মোটা টাকা আদায়ের জন্য তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী লিজা পুনরায় ছেলের বাড়িতে গিয়ে নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করে। অবশ্য গ্রামের লোকজন মেয়েকে তার পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

স্থানীয়রা জানান, যেখানে উভয়ের সম্মতিতে বিয়ে ও তালাক হয় কোর্ট এভিডেভিডের মাধ্যমে। দেনমোহর পরিশোধ করে তালাক হয়। কিন্তু দমদমা, শ্রীখণ্ডা গ্রামসহ আশপাশের গ্রামে বিগত ১৫ বছর ধরে সালিশ বানিজ্যের একটি  সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। মুলত তারাই মেয়েক পরামর্শ দিয়ে ছেলের বাড়িতে পাঠায়। যাতে করে কিছু বানিজ্য করা যায়।

ছেলে সোহানুল ও তার পরিবারের লোকজন জানায়, দেনমোহর পরিশোধ করে কোর্ট এভিডেভিডের মাধ্যমে উভয়ের সম্মতিতে তালাক হয়। তালাকের পর আবার কেন এসব ঝামেলা হবে। তাহলে তো কোর্টকে অবমাননা করা হবে। এসব নিয়ে পরিবারে অসান্তি সৃষ্টি হয়েছে এবং ছেলে এক প্রকার মানুষিক রোগী হয়ে পড়েছে। তবে মেয়ের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।

এক কাজি জানান, দেনমোহর পরিশোধ করে কোর্ট এভিডেভিডের মাধ্যমে তালাক হলে সেখানে কারো কিছু করার নেই। কেউ কোন কিছু করতে চাইলে আদালত অবমাননা হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!