রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির দুই নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (১১ জুন) জেলা বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- উপজেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম জুম্মা ও বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রফিক।
তাদের মধ্যে জুম্মা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। আর রফিকুল বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল ও সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ দুজনকে সকল পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারুল ইসলাম কিছু দিন ধরে পুঠিয়া উপজেলার নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন মিমকে বিদ্যালয়ে যেতে দিচ্ছেন না। এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে জেলা বিএনপি আনোয়ারুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছিল। তিনি জবাব দিলেও তা সন্তোষজনক হয়নি।
এদিকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে গত সোমবার ইউপি সদস্য রফিকুল তার লোকজন নিয়ে পুঠিয়ার হাতিনাদা গ্রামের দুই সেনা সদস্যের বাড়িতে হামলা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই সেনা সদস্য সম্পর্কে চাচাতো ভাই। একজনের বাড়িতে হামলা, লুটপাটের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগও করা হয়। অন্যজনের বাড়ির কয়েকটি জানালার কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়।
এক সেনা সদস্যের বাবা আওয়ামী লীগের সমর্থক। এ জন্য চাঁদা দাবি করা হচ্ছিল বলে পরিবারটির অভিযোগ। হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে পুঠিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। তবে পুলিশ এখনো রফিকুলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার বলেন, ‘আনোয়ারুল ইসলাম একজন হেডমাস্টারকে স্কুলে যেতে দিচ্ছেন না। এ জন্য শোকজ করেছিলাম। তিনি জবাব দিলেও সেটা গ্রহণযোগ্য না। তাই তাকে বহিষ্কার করা হলো। আর রফিকুল ইসলাম দুই সেনা সদস্যের বাড়িতে হামলা করেছেন বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। তাই তাকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।