রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ০৪:২৬ পিএম

রাসিকের বিল না ছাড়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন ঠিকাদাররা, কাজ বন্ধের হুঁশিয়ারি

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ০৪:২৬ পিএম

রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলনে ঠিকাদাররা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলনে ঠিকাদাররা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) উন্নয়নকাজের বিল না ছাড়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ঠিকাদাররা। এতে কাজ বন্ধ করে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা। রাসিকের সচিব রুমানা আফরোজ যথাযথ কারণ ছাড়াই ঠিকাদারদের বিল অনুমোদন করছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন ঠিকাদাররা।

দিনকে দিন ফাইল টেবিলে ফেলে রাখায় ক্ষোভে ফুঁসছেন ঠিকাদাররা। এই অচলাবস্থার নিরসন না করলে আগামী বুধবার (২৩ জুলাই) থেকে সব উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

রোববার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারের কনফারেন্স রুমে ‘রাজশাহীর সচেতন নাগরিক সমাজ ও রাসিক ঠিকাদারবৃন্দ’-এর ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে রাসিকে স্থায়ী প্রশাসক নিয়োগ ও সচিব রুমানা আফরোজকে অপসারণের দাবি জানান সংবাদ সম্মেলনের আয়োজকেরা। তারা বলেন, সচিব রুমানা আগেও যেসব জায়গায় কর্মরত ছিলেন, সেখানেও জনভোগান্তির ইতিহাস রয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে ঠিকাদার তরিকুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম এবং সচিব রুমানা আফরোজ ভোগান্তি বাড়িয়ে সেবাগ্রহীতাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দিয়েছেন। তারা রাসিকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অসংখ্য প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়েছেন। ফ্যাসিবাদী আচরণের জন্য পরিচিত এই সচিবের বিরুদ্ধে জনভোগান্তির নানা অভিযোগ রয়েছে, যা থেকে মুক্তি চাই আমরা।’

তিনি বলেন, ‘গত এপ্রিল মাসে রাসিকে যোগদানের পর থেকেই সচিব রুমানা সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি করে চলেছেন। চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বিলের ফাইল তিনি মাসের পর মাস আটকে রাখছেন। কোনো যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা ছাড়াই বিল প্রদানে গড়িমসি করা হচ্ছে। ঠিকাদাররা সচিবের কক্ষে গেলে তাদের সঙ্গে তিনি অসদাচরণ করেন।’

তিনি আরও বলেন, যথাসময়ে বিল না পাওয়ায় অনেক উন্নয়নকাজের গতি থেমে গেছে। কোথাও কোথাও কাজ পুরোপুরি বন্ধ। এতে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে উচ্চপর্যায়ের কেউ এই ধরনের কর্মকাণ্ডে ইন্ধন দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, সচিব ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার খামখেয়ালিপনার কারণে বিদ্যুৎ বিল দিতে দেরি হওয়ায় রাসিককে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে। তারা নিয়মিত অফিসে আসেন না, জনসাধারণের সমস্যা নিয়েও কথা বলতে চান না।

তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘যেসব ফাইল তিন-চার দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা সেগুলো মাসের পর মাস আটকে থাকে। কনজারভেন্সি শাখা, পরিবহণ বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, প্রকৌশল বিভাগসহ বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সচিবের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করলেও চাকরির ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। অবসরে যাওয়া কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রেও স্বাক্ষর করছেন না সচিব।’

নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকেও একাধিক অভিযোগ উত্থাপন করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। বলা হয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিক সনদ, হোল্ডিং নম্বর কিংবা এনওসি পেতে জনগণকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এনওসি পাওয়ার ক্ষেত্রে যেখানে সর্বোচ্চ চার দিন লাগার কথা সেখানে তা পেতে লাগছে আড়াই মাস। ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন কিংবা নতুন করে নিতে গেলেও মানুষ নানা হয়রানির মধ্যে পড়ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘ওয়ার্ডের ভেতরের অনেক জায়গায় বৈদ্যুতিক ল্যাম্পপোস্ট থাকলেও মাসের পর মাস লাইট জ্বলে না। ভাতা পেতেও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে ঘুরতে হচ্ছে।’

সচিবের অপসারণ ও স্থায়ী প্রশাসক নিয়োগসহ অন্যান্য সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে রাজশাহীর সব উন্নয়নকাজ আগামী ২৩ জুলাই থেকে বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন ঠিকাদাররা। এ ছাড়া ২৭ জুলাই নগর ভবনের সামনে মানববন্ধনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেলাল খান, তৌহিদুল ইসলাম সেলিম, আজিজুল হক ভুঁইয়া, গাজী সালাহউদ্দীন, ইয়াহিয়া খান মিলু, রেজাউল ইসলাম, মো. আমিন ও মো. শওকত প্রমুখ।

Shera Lather
Link copied!