রাজশাহীতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করা আবাসন ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
রোববার (২৭ জুলাই) বেলা ১১টায় নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে বিএনপি, অঙ্গ সহযোগী সংগঠন, রাজশাহী মহানগরের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন থেকে মামলাটি প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়।
গত বুধবার মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক আবাসন ব্যবসায়ী ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে নগরের বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেন।
এতে রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানি সুমন, বোয়ালিয়া থানা (পশ্চিম) বিএনপির সভাপতি শামসুল ইসলাম মিলু ও রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের সদস্যসচিব এমদাদুল হক লিমনসহ ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ২০ জনকে।
এর প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, মোস্তাফিজুর রহমান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও তার স্ত্রী শাহীন আক্তার রেনীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে তিনি মিথ্যা মামলা করেছেন। অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট বলেন, ‘পুলিশ-প্রশাসন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর ও প্রতারকদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে এখনও তাদের প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করছে এবং রাজশাহী মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা নিচ্ছে। যারা এর সাথে সম্পৃক্ত বা জড়িত থাকবেন তাদের বিচার আমরা এই বাংলার মাটিতে করব।’
বক্তারা বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান একজন প্রতারক ও জালিয়াতচক্রের হোতা। আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের আর্থিক পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। ফ্ল্যাট বিক্রির নামে বহু গ্রাহকের অর্থ নিয়ে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেননি। আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানেও প্রতারণামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে কঠোর আন্দোলন হবে।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর যুবদলের সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম রবি, বোয়ালিায়া থানা (পশ্চিম) বিএনপির সভাপতি শামসুল হোসেন মিলু, ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক লিমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সৈকত পারভেজ প্রমুখ।