টানা ৩১ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযানেও রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদের কোনো সন্ধান মেলেনি। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গর্ত খুঁড়ে ৪২ ফুট নিচ পর্যন্ত ক্যামেরা ব্যবহার করে অনুসন্ধান চালালেও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি।
এ কারণে তার বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেনেন্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘৩৫ ফুটের পর মাটি ও খড় জমে যাওয়ায় গর্তের নিচে অক্সিজেন পাঠানো সম্ভব হয়নি। তাই অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে।’
তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, গর্তে ক্যামেরা নামানো হয়েছিল, কিন্তু ৩০ ফুটের পর মাটি ও খড় জমে যাওয়ায় শিশুটিকে দেখা যায়নি। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিস আসার আগে উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন, সেই সময় মাটি আরও ঢুকে যায়।
শিশুটির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনারা যা ভাবছেন, আমরাও তাই ভাবছি। তবে আল্লাহ চাইলে সবকিছু সম্ভব।’
পরিচালক জানান, গর্তটি ৯০ ফুট পর্যন্ত খনন করা হবে। এর পাশের তিনটি স্কেভেটর দিয়ে ধাপে ধাপে খনন করা হচ্ছে এবং প্রতি ১০ ফুট অন্তর সুড়ঙ্গ কেটে দেখা হবে। এ ছাড়া ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেও উদ্ধার চেষ্টা চলবে। শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান এখনো চলছে।
সাজিদ ওই গভীর নলকূপের গর্তে বুধবার দুপুর ১টার দিকে পড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে এবং পরে আরও ৮টি ইউনিট যুক্ত হয়। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।



