ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অপমানবোধ করছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি জানান, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নিজের পদ থেকে সরে যেতে চান।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ ইচ্ছার কথা জানান। হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি বলেন, ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত তিনি দায়িত্বে থাকবেন। কারণ, সংবিধান তাকে এই অবস্থানে থাকার বাধ্যবাধকতা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি যেতে আগ্রহী। আমি পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চাই। তবে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করব।’
বার্তা সংস্থার কাছে সাহাবুদ্দিন ড. ইউনূসকে নিয়ে অভিযোগ করে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান গত সাত মাসে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। এমনকি সেপ্টেম্বরে দেশের দূতাবাস ও মিশনগুলো থেকে তার ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতির ছবি সব দূতাবাস, কনস্যুলেট ও হাইকমিশন থেকে এক রাতে হঠাৎ সরিয়ে ফেলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সাহাবুদ্দিন বলেন, এতে ভুল বার্তা গিয়েছিল সবার কাছে, যেন রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এতে তিনি খুব অপমানিত বোধ করেছেন বলে ওই সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করা হয়।
সাহাবুদ্দিন জানান, তিনি এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে চিঠি লেখেন। তবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
৭৬ বছর বয়সি সাহাবুদ্দিন ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। এরপর পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক, যদিও দেশের কার্যনির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকে।


