রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘাইহাট সড়কের তিনটি স্থানে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে খাগড়াছড়ির সঙ্গে সাজেকের সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ওই পথে ভ্রমণে যাওয়া প্রায় ৪২৫ জন পর্যটক বর্তমানে সাজেকে আটকা পড়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতভর টানা ভারী বৃষ্টির কারণে নন্দারাম, চাইল্ল্যাতলী ও চম্পক নগর এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ে। ধসে পড়া মাটি, গাছপালা ও পাথরে সড়কটি একাধিক স্থানে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে সড়কের দুই পাশে আটকে পড়ে বহু যানবাহন।
ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও, যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
দিঘিনালা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটি সরানোর কাজ শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও স্বেচ্ছাশ্রমে অংশ নিচ্ছেন। তবে বড় পাথর ও গাছপালা সরাতে ভারী যন্ত্রপাতির প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা বলেন, পাহাড় ধসের কারণে সড়কের তিনটি স্থানে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। পাথর ও গাছপালা পড়ায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। স্থানীয়দের নিয়ে চেষ্টা চলছে, তবে বুলডোজার ছাড়া এসব সরানো সম্ভব নয়।
এদিকে বিষয়টি সেনাবাহিনীর সিক্স বেঙ্গল বাঘাইহাট জোন ও বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তারকে জানানো হয়েছে। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
তবে সড়কটি খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় না থাকায়, তারা জানিয়েছেন এটি সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের (ইসিবি) তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এ কারণে ব্যবস্থা নিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন সড়ক বিভাগ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম শুরু না হলে, আটকে পড়া পর্যটক ও যাত্রীদের খাদ্য ও চিকিৎসা সংকটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।