বিড়ি শিল্পের ওপর থেকে শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন বৃহত্তর রংপুর অঞ্চল।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানববন্ধন শেষে রংপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর চার দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের অন্য দাবিগুলো- বিড়ি শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, নকল বিড়ি উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করা এবং জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে নকল বিড়ি ও সিগারেট প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিড়ি একটি দেশীয় শ্রমিকনির্ভর শিল্প। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিড়িতে কোনো শুল্ক ছিল না এবং বিড়ি একটি কুটিরশিল্প হিসেবে পরিচিত ছিল। বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের কয়েক লাখ সুবিধাবঞ্চিত শ্রমিক বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
তারা আরও বলেন, কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার এই শিল্পকে ধ্বংস করতে বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলোকে নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। ফলে প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি মালিকরা অসংখ্য কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। সুতরাং বিড়ি শিল্প রক্ষার্থে আগামী বাজেটে বিড়ি শিল্পের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার এবং বৈষম্যমূলক অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে। একইসঙ্গে বিড়ি শ্রমিকদের কল্যাণে সামাজিক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে। বিড়ির শুল্ক বৃদ্ধি হলে অসাধু বিড়ি ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে নকল বিড়ি উৎপাদন করে। এ ছাড়া খুচরা বিক্রেতাগণও বেশি লাভের আশায় নকল বিড়ি বিক্রিতে উৎসাহিত হয়।
এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারায় এবং প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুতরাং দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে নকল বিড়ি বন্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে নকল বিড়ি ও সিগারেট উৎপাদন এবং বিক্রি বন্ধে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে নকল বিড়ি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে।
মানববন্ধনে শ্রমিকদের হাতে হাতে ‘নব্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বন্ধ করো , দেশীয় শিল্প রক্ষা করো, বিএটির পণ্য বর্জন করো, বহুজাতিক বেনিয়া হঁটাও বিড়ি শ্রমিক বাঁচাও, বিড়ি শিল্পের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ফুসফুস পড়ায় এ দেশে টাকা পাচার করে বিদেশেসহ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন দেখা যায়।’