একা একটি ট্রাক দাঁড়িয়েছিল মহাসড়কে, পাশেই টহল দিচ্ছিলেন হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা। হঠাৎ পাগলের বেগে পেছন থেকে ছুটে এসে অরিন পরিবহন নামের একটি বাস দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক ও পুলিশের গাড়িতে ধাক্কায় দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও ১০ জন হাইওয়ে পুলিশ সদস্য।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাত আনুমানিক ১টার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের বিশমাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার বলদি আটা গ্রামের আলমগীর হোসেন (৪১) এবং জামালপুর সদর উপজেলার হাজীপাড়া বজ্রাপুর এলাকার আশরাফুল আলম (৪০)।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন বড়দরগা হাইওয়ে থানার কনস্টেবল মিজানুর রহমান ও সার্জেন্ট পলাশ চন্দ্র পালসহ আরও পাঁচজন।
বড়দরগা হাইওয়ে থানা সূত্র জানায়, একটি মালবোঝাই ট্রাক মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল। খবর পেয়ে বড়দরগা হাইওয়ে থানার টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। একপাশে পুলিশি টহল গাড়ি রেখে ট্রাকচালককে ডাকাডাকি করছিলেন তারা।
এ সময় পঞ্চগড়গামী অরিন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস জামালপুর থেকে রওনা দিয়ে ঘটনাস্থলে এসে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটিকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
পরে বাসটি ট্রাকের পাশেই থাকা পুলিশ টহল গাড়িতেও ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের দুজন যাত্রী নিহত এবং সাতজন আহত হন।
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় থাকা কনস্টেবল মিজানুর রহমানকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাকি আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ রংপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার আতাউর রহমান রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে বড়দরগা হাইওয়ে থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, ‘রাতে একটি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সেখানে আমাদের টহল টিম পৌঁছে। এ সময় পেছন থেকে আসা বাসটি ট্রাক ও আমাদের টহল গাড়িতে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের দুজন যাত্রী মারা যান এবং ১০ জন আহত হন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। দুর্ঘটনার শিকার বাস ও ট্রাক পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
আপনার মতামত লিখুন :