বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা শাখার সাবেক আহ্বায়ক আরাফাত হোসাইনের ফেসবুকে একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে পুরো জেলায় তুলকালাম সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা শাখার সাবেক আহ্বায়ক আরাফাত হোসাইন ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অভিযোগ করেন, ‘কলারোয়ায় মুজিব প্রতিকৃতি ভাংতে ইউএনওর বাধা। বাহ, বাহ, ইউএনও বাহ! ডিসি মোস্তাক আহমেদ কি আওয়ামী পুষছে?’
তিনি আরও লেখেন, ‘ইউএনও কীভাবে মুজিব রেখে অফিস করত? এই জুলাই বিপ্লবের পরেও তিনি কীভাবে বলেন ভাঙার দরকার নেই, এখানে আমরা অন্য কিছু বানাব।’
এ বিষয়ে জানার জন্য কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, আমি ভাংতে নিষেধ করেনি। আমি বলেছি, স্থাপনা যদি পুরোটা নস্ট না করে মূল ছবিটা নস্ট করে স্থাপনটা রাখা যায় তাহলে আমরা সেখানে কলারোয়ার মানচিত্র বানাব।’
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে একদল নেতাকর্মী ও সমর্থক রাতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। এ ঘটনা শুক্রবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ছাত্র-জনতা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ফুটেজে দেখা যায়, মো. রাসেল হোসেন প্রতিকৃতির সামনে পুষ্পমাল্য রেখে যান। তবে রাসেলের পরিচয় শনাক্ত হলেও বাকিদের পরিচয় এখনো অজ্ঞাত রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে শুক্রবার (১৫ আগষ্ট) দুপুরে ক্ষুব্ধ ছাত্র—জনতা প্রতিকৃতিটি ভেঙে দিয়েছে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গভীর রাতে দুজন ব্যক্তি এসেছিল। একজন ফুল দিয়েছে, আরেকজন মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করছিল। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।’