‘২০১৮ সালে আমি একজন ক্যান্ডিডেট হয়েও ভোট দিতে পারি নাই’—জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘এবার আপনারা আর সেই সুযোগ দেবেন না, একেবারে বসে থাকবেন ঐখানে, কেউ যেন ভোট চুরি করতে না পারে।’
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা বলফিল্ড মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আফরোজা আব্বাস। উপজেলা মহিলা দলের আয়োজনে এ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মীসভার উদ্বোধন করেন সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব। মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন তালা উপজেলার মহিলা দলের সভাপতি মেহেরুন্নেছা মিলি।
আফরোজা আব্বাস তার বক্তব্যে বলেন, ‘আপনারা জানেন শুধুমাত্র ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য পারুলকে গণধর্ষণ করেছিল স্বামীর সামনে। তাহলে আপনারা বোঝেন আমরা কোন দেশে বসবাস করি। আর যেন কোনো ধর্ষণ না হয়, কোনো মায়ের বুক খালি না হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবার যেন তেমন না হয় যে দিনের ভোট রাতে হয়। সে সুযোগ দেবেন না। এবার হবে—আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। আপনারা যাকে পছন্দ করেন, তাকে দেবেন।’
আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘২০১৮ সালে আমি একজন ক্যান্ডিডেট ছিলাম, কিন্তু আমি ভোট দিতে পারি নাই। এসে দেখি আমার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। এবার আপনারা আর সেই সুযোগ দেবেন না, একেবারে বসে থাকবেন ঐখানে, কেউ যেন ভোট চুরি করতে না পারে। আমরা ভোট চুরি করতে চাই না। আমরা বিনা ভোটে নির্বাচিতও হতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই যুদ্ধ করে, লড়াই করে জিততে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে, গণতন্ত্রের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে। কারণ জনগণের ভোটেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তাহলে আমরা জয়ী হতে পারব। ১৬টি বছর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যুদ্ধ করেছেন আমাদের জন্য—বিশেষ করে নারীদের জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে মহিলা দলের গুরুত্ব অপরিসীম। তাদের নেতৃত্বে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে মহিলাদের বুঝিয়ে দল সংগঠিত করবেন। কারণ আপনারা জানেন, একটি বিশেষ দল কিন্তু বসে নেই—তারা প্রতি বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের সুসংগঠিত করছে। তাদেরকে বুঝিয়ে অন্য দলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই সজাগ থাকবেন, আমার মা-বোনরা যেন ঐ বিশেষ দলে ভিড়তে না পারে, সে দিকে লক্ষ রাখবেন।’
এ সময় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন তালা-কলারোয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব। তিনি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘আপনারা সজাগ থাকবেন—একটি বিশেষ দল কিন্তু বসে নেই। তারা রাতের আঁধারে প্রতি বাড়ি বাড়ি গিয়ে মা-বোনদের বুঝিয়ে অন্য দলে নিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার মা-বোনদের ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। তাই আপনারা মনে রাখবেন, একটি বিশেষ দল কিন্তু মা-বোনদের ‘বেহেশতে নিয়ে যাবে’ বলে কানে মন্ত্র দিয়ে তাদেরকে বাঁকা পথে নিয়ে যাচ্ছে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন: সাবেক এমপি ও খুলনা বলগী টিম টিচার জনাব নেওয়াজ হালিমা আর্লি, প্রধান আলোচক সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ, সদস্য সচিব জনাব আবু জাহিদ ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসান হাদী, তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাবু মৃনাল কান্তি রায়, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি শেখ গোলাম মোস্তফা, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি প্রমুখ।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন: জেলা বিএনপি নেতা, সাবেক এমপি ও খুলনা বলগী টিম টিচার জনাব নেওয়াজ হালিমা আর্লি, প্রধান আলোচক সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ, সদস্য সচিব জনাব আবু জাহিদ ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসান হাদী, তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাবু মৃনাল কান্তি রায়, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি শেখ গোলাম মোস্তফা, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি, নগরঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, সরুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ রাশিদুল হক রাজুসহ স্থানীয় নেতারা।