ঢাকা শনিবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৫

সাতক্ষীরায় ‘পরিকল্পিত’ ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ১১:২১ পিএম
সাতক্ষীরা শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের প্রধান ফটকে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সাতক্ষীরা পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী ঘরপোড়ানো মামলাটি তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় বাদীর তিন ভাইপোর বিরুদ্ধে ‘পরিকল্পিতভাবে’ ধর্ষণ মামলা দায়েরের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় জেলা হিন্দু জোটের আয়োজনে শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের প্রধান ফটকের সামনে সাতক্ষীরা–আশাশুনি সড়কে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় জেলার আরও কয়েকটি সংখ্যালঘু নির্যাতন ও জগন্নাথ দেব মন্দিরের জমি দখলের অভিযোগ তুলে ধরা হয়।

জেলা হিন্দু যুব পরিষদের সদস্য সচিব মনোদীপ মণ্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি এড. সোমনাথ ব্যানার্জী, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকার সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, জেলা পূজা ফ্রন্টের যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সুনীল কুমার ঘোষ, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, রঘুনাথ খাঁ, শিক্ষক নিত্যানন্দ সরকার, ক্ষতিগ্রস্ত দীলিপ গাইন, সুচিত্রা গাইন, নির্যাতিতা মাধবী মণ্ডল, এড. আবুল কালাম প্রমুখ।

বক্তারা জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৭ অক্টোবর রাত সাড়ে সাতটার দিকে শ্যামনগর উপজেলার মীরগাং গ্রামে দীলিপ গাইনের পুকুরসহ প্রায় ৫০ শতক জমি নীল নেট দিয়ে ঘিরে নেওয়ার চেষ্টা করে প্রতিপক্ষ জঙ্গল ভাঙ্গী ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা। নেতৃত্ব দেন একই গ্রামের জব্বার, যতীন্দ্রনগর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম ও মাহামাদুল ইসলামসহ অন্তত ৫০ জন।

ওই রাতেই লুটপাট শেষে দীলিপ গাইনের বসতঘর ও রান্নাঘরে আগুন ধরিয়ে ভস্মীভূত করা হয়। পরে দীলিপ গাইন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এরপর ২৬ অক্টোবর ভোর ৬টার দিকে দীলিপ গাইনের ভাইপো বিকাশ গাইনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জহিরুল ইসলাম। পরে প্রতিপক্ষ এক ব্যক্তির মাকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানা লকআপে আটকে রাখা হয়।

থানার ওসি হুমায়ুন কবীর জানান, ঘরপোড়ানো ও ধর্ষণ—দুটো ঘটনাই সঠিক নয় বলে মনে হয়।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ঘরপোড়ানো মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় দীলিপ গাইনের ভাইপো পলাশ, তুষার ও বিকাশের নামে ২৭ অক্টোবর পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করা হয়।

মানববন্ধন থেকে শ্যামনগর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর মোল্লা ও এসআই জহিরুল ইসলামের অপসারণ এবং পরিকল্পিত ধর্ষণ মামলার সঙ্গে জড়িতদের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।