বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম

প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করায় স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম

প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করায় স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

নিহত শিক্ষার্থী হাফিজা আক্তার। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

স্থানীয় সালিশে মিথ্যা বিচারের অপবাদ সহ্য করতে না পেরে মাদারীপুর জেলার শিবচরে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী হাফিজা আক্তার (১৪) আত্মহত‌্যা ক‌রে‌ছে ব‌লে অ‌ভি‌যোগ ক‌রেন প‌রিবা‌রের লোকজন। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী কাইমুদ্দিন শিকদার কান্দি এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে‌ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে একই এলাকার আবু কালাম সরদারের ছেলে পেয়ার হোসেন জোরপূর্বক হাফিজার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে হাফিজা। পরে পেয়ার হোসেন তাকে ভয় দেখিয়ে এবং চাপে ফেলে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে গর্ভপাত করান। সাম্প্রতিক সময়ে পেয়ার হোসেন আবারও হাফিজাকে বিরক্ত করতে শুরু করেন এবং প্রায়ই তার ঘরে ঢুকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করতেন।

এ নিয়ে হাফিজার পরিবার স্থানীয় সালিশিদের কাছে বিচার চায়। সালিশিদের মাধ্যমে দুটি সালিশ বসানো হয়, তবে সেগুলো ছিল পক্ষপাতমূলক। অভিযোগের প্রাথমিক লক্ষ্য পেয়ার হোসেন হলেও সালিশে অভিযুক্ত করা হয় তার ছোট ভাই আলী হোসেনকে। এতে হাফিজা ভীষণভাবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।

বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির লোকজন পাশের একটি পিকনিকে ব্যস্ত থাকার সময় হাফিজা ঘরের সিলিংয়ের কাঠে রশি ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করে। দরজা জানালা বন্ধ দেখে তার বড় ভাই জানালা ভেঙে ঢুকে হাফিজার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। স্থানীয়রা এসে মেয়েটিকে নামালে দেখা যায়, ততক্ষণে সে মারা গেছে।

হাফিজার বড় ভাই নাসির মোল্লা বলেন, “মিথ্যা সালিশের কারণেই আমার বোন মারা গেছে। যদি সালিশটি সঠিকভাবে হতো, তাহলে সে আজ বেঁচে থাকত। আমি আমার বোনের মৃত্যুর ন্যায়বিচার চাই। 

মেয়েটির মৃত্যুর পর পেয়ার হোসেনের পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। সালিশি কমিটির অন্যতম ব্যক্তি ও ওয়ার্ড মেম্বার মোতাহার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। 

শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোকতার হোসেন বলেন, “আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আরবি/জেডআর

Link copied!