শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে বিষের বোতল হাতে অনশনে বসেছেন লামিয়া নামের এক স্কুলছাত্রী। দাবি না মানলে বিষপান করবেন বলেও হুমকি দেন লামিয়া।
অভিযুক্ত প্রেমিক বাবু রাড়ী পেশায় একজন দুবাই প্রবাসী। রোববার (২৭ জুলাই) বিকেল থেকে বাবুর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন লামিয়া।
সোমবার (২৮ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সখিপুর থানার চরচান্দা মুন্সী কান্দি গ্রামের বাসিন্দা বাবু রাড়ীর বাড়ির আঙিনায় বসেই অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। প্রেমিকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক থাকার পর বাবু বিয়ের আশ্বাস দিয়ে লামিয়াকে তার বন্ধুর বাসায় নিয়ে যান এবং সেখানে স্বামী-স্ত্রীর মতো সময় কাটান।
এরপর থেকেই বাবু ধীরে ধীরে সম্পর্ক থেকে সরে যেতে শুরু করেন। ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো ও মেসেঞ্জারে লামিয়াকে ব্লক করে দেন। যোগাযোগের সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে লামিয়া শেষ পর্যন্ত প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন।
লামিয়ার অভিযোগ, অনশনের পর বাবুর মা ও বোন তাকে মারধরও করেছেন। তবে প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে বাবু পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বিষয়টি নিয়ে পুরো এলাকায় তীব্র আলোচনা-সমালোচনা চলছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে গড়ালেও এখনো সমাধান হয়নি।
লামিয়া বলেন, ‘বিয়ে ছাড়া এখন আমার আর কোনো উপায় নেই। বাবু আমার জীবন নিয়ে খেলেছে। তার শাস্তি চাই।’
তবে বাবু রাড়ীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। এদিকে প্রতিবেশীদের অনেকেই মেয়েটির পক্ষ নিয়ে দ্রুত সমাধান ও বিয়ের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় কয়েকজন আশপাশের প্রতিবেশীও মেয়েটির পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন। তারা দ্রুত অভিযুক্ত বাবু রাড়ীর সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।
সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবায়দুল হক বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি। মেয়েটি নিজেই আমাকে ফোনে জানিয়েছে, সে অনশনে বসেছে। তবে আমি ব্যস্ত থাকায় ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি।’