সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২৫, ১২:০৪ এএম

১২৩ জাল সনদধারী শিক্ষকের চাকরি ফেরতের প্রস্তাব!

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২৫, ১২:০৪ এএম

১২৩ জাল সনদধারী শিক্ষকের  চাকরি ফেরতের প্রস্তাব!

শিক্ষা খাতের দুদক হিসেবে খ্যাত পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে জাল সনদে চাকরি করছেন প্রমাণিত হওয়ার পর চাকরিচ্যুত ১২৩ শিক্ষককে এবার চাকরিতে পুর্বহালের সুপারিশ করেছে খোদ ডিআইএ। এরই মধ্যে তাদের একটি খসড়া তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। খবরটি চাউর হওয়ার পর সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্যের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তদন্তে জাল সনদে চাকরি করছেন বিষয়টি ধরা পড়ার পর তাদের চাকরি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ফেরতের সুপারিশ করেছিল ডিআইএ। এখন তাদের আবার চাকরিতে বহালের সুপারিশ ‘রহস্যজনক’। এর পেছনে বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তুলছেন অনেকে। 
এদিকে জাল সনদধারীদের চাকরি ফেরত দেওয়ার সুপারিশের ঘটনায় প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিআইএ পরিচালক অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে দেওয়া এই অভিযোগে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৬৭৮ জন জাল সনদধারীকে চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য ঘুষ হিসেবে এই বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়েছেন সাইফুল ইসলাম। জনপ্রতি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে তাদের চাকরি ফেরতের বিষয়ে সুপারিশ করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, কম্পিউটার সনদ জাল করে শিক্ষকতা করছেন এমন ৬৭৮ শিক্ষকের তালিকা ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে জমা দেয় ডিআইএ কর্তৃপক্ষ। ডিআইএর তদন্তের কালপর্ব ছিল ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। পরে ২০২৩ সালের ১৮ মে এসব শিক্ষককে চাকরিচ্যুত, বেতন-ভাতা বাবদ নেওয়া অর্থ ফেরত, ফৌজদারি মামলাসহ সাত দফা শাস্তি কার্যকরের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর ভিত্তিতে এসব শিক্ষকের এমপিওভুক্তি বাতিলসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। 
আরও জানা যায়, যে ৬৭৮ শিক্ষকের সনদ জাল পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে ৫১২ জন এনটিআরসিএর শিক্ষক নিবন্ধনের ভুয়া সনদ দেখিয়েছেন। অন্য জাল সনদগুলোর মধ্যে জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমির (নেকটার) ১৩৫টি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি, রয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একটি, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের একটি, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের একটি এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের দুটি। 
মাউশি থেকে জানা যায়, চাকরি ফেরত ও এমপিভুক্তি চালুর জন্য জাল সনদধারী শিক্ষকেরা এখন পর্যন্ত মোট ৮৭টি মামলা করেছেন। এসব মামলায় অনেকে অন্তর্বর্তীকালীন রায়ও পেয়েছেন। অবশ্য এসব রায়ের বিরুদ্ধে আপিলও করেছে মাউশি। এ বিষয়ে মাউশির আইন কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বলেন, অনেক মামলায় শিক্ষকেরা অন্তর্বর্তীকালীন রায় পেয়েছেন। এসব রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। 
এ প্রসঙ্গে ডিআইএ পরিচালক অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এসব শিক্ষক যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিয়েছেন, সেখানে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তাদের চাকরি ফেরত দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এখনো তাদের তালিকা চূড়ান্ত বা যাচাই-বাছাই করা হয়নি। তবে এ বিষয়ে মুঠোফোনে বিস্তারিত বলতে রাজি হননি তিনি।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!