শেরপুরের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য অনুমোদনহীন বেকারি। এসব বেকারিতে কেক, টোস্ট, বিস্কুটসহ নানা ধরনের খাদ্যপণ্য তৈরি হলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের নেই স্বাস্থ্য সনদ বা পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি মানহীন এসব খাদ্যপণ্যে শিশু ও সব বয়সি মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে শেরপুর পৌরসভার মধ্য নওহাটা এলাকায় ‘রুহানি কেক গ্যালারি অ্যান্ড ফুড’-এ দেখা যায়, বেকারির মালিক দেলোয়ার হোসেনের অধীনে কয়েকজন শ্রমিক অত্যন্ত নোংরা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে কেক, পাউরুটি, টোস্ট, নিমকি ও চানাচুরসহ বিভিন্ন বেকারি আইটেমে কেমিক্যাল মিশিয়ে প্রস্তুত করছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে একজন শিশু শ্রমিক কাজ করছে বলেও জানা গেছে।
অনুমোদনের বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘শুধু পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ বা পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র নেই। দুই বছর ধরে তিনি বেকারি পরিচালনা করছেন। তবে শুধু ট্রেড লাইসেন্সের ভিত্তিতে বেকারি চালানো যায় কি না- এমন প্রশ্নের কোনো সঠিক জবাব তিনি দিতে পারেননি।’
এ ছাড়া ‘বেস্ট কেক গ্যালারি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানও অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে গোপনে বেকারি পরিচালনা করছে। মালিক সিদ্দিক কোনো অনুমোদন দেখাতে পারেননি। তিনি জানিয়েছেন, ব্যবসা বন্ধ করে দেবেন।
একই চিত্র মোবারকপুর এলাকার ‘অভিজাত বেকারি’-তেও। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে কেক ও বিস্কুট। মালিক রতনের কাছে অনুমোদনসংক্রান্ত জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জেলা কর্মকর্তা শাকিলুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কোনো খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিই না, বরং মনিটরিং করি। স্বাস্থ্য বা পরিবেশগত কোনো অসঙ্গতি পেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিই।’
অনুমোদনহীন বেকারি বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর এর শেরপুর কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে পরিদর্শক সুশীল কুমার দাস বলেন, ‘আমরা এক্ষেত্রে পরিবেশ ছাড়পত্র নেই বা অনুমোদনহীন বেকারিতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। তথ্য পেলে আমরা ব্যবস্থা নিব।’