ঢাকা শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫

শুরুতেই হোঁচট খেল শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাস করেনি কেউ

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম
হিরন্ময়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার একমাত্র শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিরন্ময়ী উচ্চ বিদ্যালয় কলেজ শাখা চালুর অনুমতি পায়। ‘হিরন্ময়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ নাম ধারণ করে প্রথমবারের মতো প্রতিষ্ঠানটি থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। তবে দুঃখজনকভাবে, কেউই পাস করতে পারেনি।

হিরন্ময়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গেছে, ১৯০৫ সালে খালভাঙ্গা গ্রামের স্বর্গীয় শ্রী মঙ্গল সরকারের বাড়িতে আটচালা টিনশেড ঘরে যাত্রা শুরু করে হিরন্ময়ী বিদ্যালয়। ১৯০৬ সালে তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র মহিমচন্দ্র পাল প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯০৬ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়টি খালভাঙ্গায় পরিচালিত হয়। পরে জমিদার গোপাল দাস চৌধুরীর সহায়তায় বিদ্যালয়টি আড়াইআনির মেহগনি সড়কের পাশে (বর্তমান খাদ্যগুদাম এলাকায়) স্থানান্তরিত হয়। জমিদারের পত্নী হিরণবালার নামানুসারে বিদ্যালয়ের নাম রাখা হয় ‘হিরন্ময়ী স্কুল’।

১৯১৯ সালে বিদ্যালয়টি এম.ই. স্কুলে উন্নীত হয়। ১৯৩৪ সালে ভোগাই নদীর পাড়ে বর্তমান স্থানে স্থায়ীভাবে গড়ে ওঠে। ১৯৪১ সালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উদ্যোগে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চালু হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে এটি নিম্ন মাধ্যমিক এবং ১৯৭৪ সালে পূর্ণাঙ্গ উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি লাভ করে।

সর্বশেষ, ২০২৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কলেজ শাখা চালুর অনুমতি পায় প্রতিষ্ঠানটি।

বর্তমানে মাধ্যমিক শাখায় প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। তাঁদের পাঠদানে নিয়োজিত আছেন ১৬ জন শিক্ষক। এছাড়া আছেন একজন সহকারী গ্রন্থাগারিক, একজন কম্পিউটার অপারেটর এবং পাঁচজন কর্মচারী।

কলেজ শাখায় বর্তমানে অস্থায়ী শিক্ষক দিয়ে পাঠদান চলছে। এ বছর মানবিক শাখা থেকে ৬ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তবে কেউই পাস করতে পারেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বলেন, ‘পাঠদানের মান আরও বাড়াতে হবে। তাহলেই প্রতিষ্ঠানটি ভালো ফলাফল করবে।’

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আমিনুল হক বলেন, ‘কলেজ শাখা চালুর পর এরা আমাদের প্রথম ব্যাচের পরীক্ষার্থী। অনিচ্ছা সত্বেও তাদেরকে এখানে অনেকটা জোরপূর্বক ভর্তি করা হয়েছিল। তবে আমরা ভালো ফলাফল করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।’