খুলনার পাইকগাছার নদী থেকে আরও একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলার সোলাদানা বাজার সংলগ্ন শিবসা নদীর চর থেকে ইকরাম হোসেন (৪৭) নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ।
এর আগে ১৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে দেলুটি নদী থেকে রানা খলিফা (৪০) নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে গত দু’দিনে দুইটি লাশ উদ্ধার করা হলো। এদিকে পরপর দু’দিনে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নৌ-ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এসআই সবুর হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল শিবসা নদীর চর থেকে ইকরাম হোসেনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর পরিবারের লোক ইকরামের পরিচয় সনাক্ত করেছে। তিনি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার মহাসিন উদ্দিন সড়কের বাসিন্দা ও বানরগাতি এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেনের মেজো ছেলে। মৃতের পরনে থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট এবং শরীরে গেঞ্জি পরা ছিল। ইকরামের মা, ৩ ভাই, স্ত্রী ও ৮ বছরের একটি ছেলে রয়েছে।’
ইকরামের ছোট ভাই রুবেল হোসেন জানান, “গত ১৪ অক্টোবর সকালে একটি মামলার হাজিরার জন্য ভাইয়া আদালতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বিকাশের মাধ্যমে আমার কাছে ৫০০ টাকা নিয়েছিলেন। এরপর দেড়টার দিকে বলেছিলেন, ‘পাইকগাছার ঘেরের দিকে যাচ্ছি।’ সন্ধ্যায় বাড়িতে আসবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি ঘেরে আছি, সমস্যা নেই। সকালে বাড়িতে আসব।’ এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায় এবং খোঁজাখুঁজিতে তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি।” পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হতে পারে, এমন অভিযোগ স্বজনদের।
পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগে কিছু বলা সম্ভব নয়।
মৃতের স্বজনরা পুলিশকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার উদ্ধারকৃত রানা খলিফা ও ইকরামসহ খুলনার ৪-৫ জন এক সঙ্গে ছিলেন; তাদের অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ এখন সম্ভব হচ্ছে না।
সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ-পুলিশ কর্মকর্তা সবুর হোসেন।
পাইকগাছা থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ জানান, ‘এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরপর দু’দিনে উদ্ধার হওয়া দুজন হত্যার শিকার কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে। তবে এ ব্যাপারে পুলিশ কাজ করছে।’