বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থের বিভিন্ন পরীক্ষাগুলো শেষ হলে মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তে শিগগিরই তিনি বাসায় ফিরবেন। এখন ম্যাডামের অবস্থা সার্বিকভাবে স্থিতিশীল। যে অবস্থায় উনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন, তার চেয়ে অনেকটা স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন।
ডিপ্লোমা অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডি-ম্যাব) নতুন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক শহিদুল্লাহ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে নেতাদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়েছেন অধ্যাপক জাহিদ। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট রাতে একই হাসপাতালে কয়েকটি পরীক্ষার জন্য গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেদিন রাতেই তিনি বাসায় ফিরেছিলেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত বুধরাত রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাষ্ট্র যখন দায়িত্ব নিয়েছে তখন তা নিয়ে কারও ‘শঙ্কার কিছু নেই’ উল্লেখ করে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, দেশের মানুষ আবু সাঈদ বলেন, মুগ্ধ বলেন গত ১৫ বছর যাবৎ নিরন্তর আন্দোলন করেছে। গুম বলেন, শহীদ বলেন, ৩৬ জুলাই যদি আমরা চিন্তা করি, এটি হচ্ছে ১৫ বছরে ধারাবাহিক আন্দোলনের সর্বশেষ পর্যায়।
এখানে ছাত্র-জনতার মিলিত গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী পালিয়ে গেছে, পদত্যাগ করেছে। দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের দিকে, জুলাই সনদে কী আছে, জুলাই সনদে কারা যাচ্ছে, কারা যাচ্ছে না এবং জুলাই সনদ কীভাবে বাস্তবায়িত হবে।
তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ রাষ্ট্র যখন দায়িত্ব নেয় কোনো একটি সনদ বা কোনো একটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য, সেখানে এটি নিয়ে আমার মনে হয় না কোনো ধরনের মানুষের কারো মনে কোনো ভীতি অথবা শঙ্কা থাকার কারণ আছে যে, এটি ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন হবে না।’