সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম

ব্র‍্যাক ব‍্যাংক আস্থা অ‍্যাপ এখন ৯ লক্ষ গ্রাহকের পরিবার

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম

ব্র‍্যাক ব‍্যাংক আস্থা অ‍্যাপ এখন ৯ লক্ষ গ্রাহকের পরিবার

ছবি- সংগৃহীত

ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপ ‘আস্থা’ এখন ৯ লাখেরও বেশি গ্রাহকে স্মার্ট ব্যাংকিংয়ের সেবা দিচ্ছে।

ডিজিটাল জ্ঞানসম্পন্ন এত বড় গ্রাহকবেসকে সেবা দেওয়া ব্যাংকটির প্রতি গ্রাহকদের অবিচল আস্থার প্রতিফলন। এটি ব্র্যাক ব্যাংকের জন্য এক অনন্য মাইলফলকও বটে।

২০২১ সালে যাত্রা শুরু করা ব্র্যাক ব্যাংকের আস্থা অ্যাপ বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় জীবনযাত্রা ও আর্থিক চাহিদার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছিল। এখন এটি দেশের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ডিজিটাল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম। 

৯ লাখেরও বেশি গ্রাহকের এই অ্যাপে ২০২৫ সালের মার্চ মাসে প্রায় ১৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে একটি নতুন রেকর্ড। আস্থা অ্যাপের ৫৩ শতাংশ ব্যবহারকারী ২১ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণ প্রজন্ম, যারা প্রযুক্তি ও সুবিধার সমন্বয়ে ব্যাংকিংয়ে নতুন অভিজ্ঞতা চান।

আস্থা অ্যাপটি বিশেষত বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এই অ্যাপ ব্যবহারকারী ৫৩ শতাংশ গ্রাহকেরই বয়স ২১ থেকে ৩৫-এর মধ্যে, যারা ব্যাংকিংয়ে স্বাচ্ছন্দ্য, সুবিধা এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।

আবার, আস্থা অ্যাপের লাইফস্টাইল ফিচার ব্যবহারকারীর ৬১ শতাংশই এই বয়সী তরুণ প্রজন্ম, যাদের কাছে এই অ্যাপটি দৈনন্দিন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।  

আস্থা অ্যাপের গ্রাহকরা নিজেদের ব্যাংকিং লেনদেনের ৭১ ভাগই সম্পন্ন করেন এই অ্যাপের মাধ্যমে। গ্রাহকরা যে ‘মোবাইল ফার্স্ট’ ব্যাংকিং সল্যুশনের দিকে ঝুঁকছেন, এটি তার-ই উদাহরণ।

আস্থা অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে নিজেদের দৈনন্দিন ব্যাংকিং প্রয়োজন পূরণ করতে পারছেন। এখানে প্রতিটি সেবা নেওয়ার প্রক্রিয়া গ্রাহকদের জন্য অত্যন্ত সহজ।

এনপিএসবি এবং আরটিজিএস-এর মাধ্যমে অন্য ব্যাংকে রিয়েল-টাইম ফান্ড ট্রান্সফার থেকে শুরু করে গ্রাহকরা এই অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল টপ-আপসহ বিভিন্ন পরিষেবার বিল পরিশোধও করতে পারছেন ঝামেলাহীনভাবে।

এই ডিজিটাল ব্যাংকিং-ব্যবস্থার ফলে গ্রাহকদের এখন আর ব্রাঞ্চে যেতে হচ্ছে না, কিংবা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। এখানে নেই কোনো ট্রানজ্যাকশন ফি। গ্রাহকরা হাতের নাগালেই পাচ্ছেন নিরাপদ ও সুরক্ষিত ব্যাংকিং সেবা।

গ্রাহকদের দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় পরিকল্পনাও সহজ করেছে আস্থা অ্যাপ। গ্রাহকরা খুব সহজেই আস্থা অ্যাপের মাধ্যমে এফডিআর ও ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খোলার পাশাপাশি সেগুলো এনক্যাশও করতে পারছেন এখান থেকে।

এছাড়াও, এই অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা পিন জেনারেট কিংবা রিসেট করা, কার্ড সাময়িকভাবে ব্লক করা, এমনকি নমিনির তথ্যও হালনাগাদ করতে পারছেন খুব সহজেই। যারা দ্রুততা এবং পরিকল্পিত আর্থিক সিদ্ধান্তকে অগ্রাধিকার দেন, এই সেবাগুলো তাঁদের জীবনকে করেছে আরও সহজ ও নিশ্চিন্ত।

আস্থা অ্যাপের ‘ক্যাশ-আউট বাই কোড’ ফিচারের মাধ্যমে এটিএম থেকে কার্ড ব্যবহার ছাড়াই খুব সহজে টাকা উত্তোলন করা যায়, যা গ্রাহকদের জন্য উন্মোচন করেছে প্রচলিত এটিএম ট্রানজ্যাকশনের এক আধুনিক বিকল্প ব্যবস্থা।

বিকাশ, রকেট এবং ইনস্যুরেন্স পেমেন্টের মতো পৌনঃপুনিক লেনদেনগুলোকে স্ট্যান্ডিং ইনস্ট্রাকশন ফিচারের আওতায় নিয়ে আসা যায়।

এর ফলে, গ্রাহক ভুলে গেলেও বিল পেমেন্ট হয় সময়মতো। বিকাশের ‘পুল মানি’ ফিচারটির মাধ্যমে যোগ হয়েছে আরও বিশেষ সুবিধা। আস্থা অ্যাপের এই সুবিধার ফলে গ্রাহকরা বিকাশ থেকে তাঁদের ব্র্যাক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা ক্রেডিট কার্ডে সরাসরি টাকা ট্রান্সফার করতে পারছেন।

‘আস্থা’ অ্যাপে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া সহজ এবং সুবিন্যস্ত। গ্রাহকরা অ্যাকাউন্ট নম্বর, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড নম্বর, কিংবা ডিপিএস নম্বরের মাধ্যমেই এখানে সাইন-আপ করতে পারেন। এই কারণে এই প্রক্রিয়াটি সবার কাছেই সহজবোধ্য। এই অ্যাপের মাধ্যমে ইকেওয়াইসি-ভিত্তিক অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।

কার্ড এবং লোনের আবেদনও এখান থেকে সহজেই করা সম্ভব। এছাড়াও আস্থা অ্যাপে ব্র্যাক ব্যাংকের সকল এটিএম বুথ, ব্রাঞ্চ এবং মার্চেন্ট লোকেশন বের করা যায়, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

ব্যাংকিং এবং লাইফস্টাইলের দারুণ সংমিশ্রণ সবার কাছে আস্থা অ্যাপকে করে তুলেছে অনন্য। এখানে গ্রাহকদের দৈনন্দিন জীবনের সবকিছুকে একসঙ্গে নিয়ে আসা হয়েছে। আস্থা লাইফস্টাইলের মাধ্যমে গ্রাহকরা বাসের টিকিট কাটতে পারেন, আস্থা প্লে-এর মাধ্যমে গ্রান শুনতে পারেন, এমনকি আস্থা লার্নিং-এর মাধ্যমে বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন কোর্সও করতে পারেন।

আস্থা ইসলামিক-এ রয়েছে এমন সব কন্টেন্ট, যেখানে একজন গ্রাহক খুঁজে পাবেন আত্মিক সন্তুষ্টি। এখনকার গ্রাহকদের দরকার ব্যাংকিংয়ের চেয়েও বেশি কিছু। এই বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েই ব্র্যাক ব্যাংক আস্থা অ্যাপে যুক্ত করেছে দারুণ সব ফিচার।

গ্রাহকদের আর্থিক সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনায়ও আস্থা অ্যাপ ভূমিকা রাখছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট, ট্যাক্স সার্টিফিকেট, চেকবুক কনফার্মেশন মুহূর্তেই পাওয়া যায়।

এতে আছে পজিটিভ পে, যা এসএমই গ্রাহক, স্যালারি অ্যাকাউন্টহোল্ডার এবং স্বনির্ভর পেশাজীবীদের জন্য জরুরি এক ফিচার। আস্থা অ্যাপের বিল পেমেন্টের ঝামেলাহীন প্রক্রিয়ায় সহজেই ইউটিলিটি বিল এবং সরকারি বিভিন্ন পেমেন্টসহ ভূমি করের মতো পেমেন্টও করা যায়। এসব সুবিধা দেশের একজন একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গ্রাহকদের দেয় বাড়তি সুবিধা।

এই প্ল্যাটফর্মটি যত বড় হচ্ছে, ততই এর প্রভাবও বাড়ছে। ৯ লক্ষাধিক ব্যবহারকারীর এই প্ল্যাটফর্ম শুধু বাংলাদেশের ডিজিটাল ব্যাংকিংকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িতই করছে না, বরং একইসঙ্গে দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসার, মানুষের জীবনযাত্রায় স্বাচ্ছন্দ্য এবং ব্যাংকিংয়ে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার বিকাশ ঘটাচ্ছে।

ব্র্যাক ব্যাংকের আস্থা অ্যাপ সম্পর্কে ব্যাংকটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, “আস্থা শুধু একটি অ্যাপই নয়, এটি বাংলাদেশের কোটি মানুষের স্মার্ট ভবিষ্যতের এক নতুন দুয়ার। এই অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত গতিতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

এটি উদ্ভাবন, গ্রাহক-কেন্দ্রিকতা এবং সহজ ব্যাংকিংয়ের প্রসারে আমাদের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, স্বাচ্ছন্দ্যময়, নিরাপদ, সহজ ও স্মার্ট ব্যাংকিং সুবিধার মাধ্যমে আস্থা বাংলাদেশের মানুষের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতাকে বদলে দেবে।”
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!