মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, কী আছে প্রজ্ঞাপনে?

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, কী আছে প্রজ্ঞাপনে?

প্রজ্ঞাপনের ছবি ও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লোগো। ছবি-সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ প্রজ্ঞাপন জারি করে।

সোমবার (১২ মে) বিকেলে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পর্যন্ত দলটি এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো বিরোধী রাজনৈতিক দল, ভিন্নমতাবলম্বী ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা, গুম, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণসহ সারা দেশে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

বিশেষ করে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে গিয়ে গণহত্যা, মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা, বেআইনি আটক, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অমানবিক নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এসব অভিযোগ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে। এসব মামলার বিচার বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও ফৌজদারি আদালতে চলমান।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বিচারকে বাধাগ্রস্ত করা, জনমনে ভীতি সৃষ্টি, রাষ্ট্রীয় সংহতি ও নিরাপত্তা বিপন্ন করা এবং গোপনে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড চালানোর উদ্দেশ্যে দলটির নেতা-কর্মীরা সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য প্রচার করছে। বিদেশে পলাতক নেত্রী ও অন্যান্য নেতারাও এসব অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত বলে দাবি করা হয়।

সরকারের কাছে থাকা তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো রাষ্ট্রকে অকার্যকর করার চেষ্টায় লিপ্ত। জনসাধারণের মনে ভীতি ছড়াতে তারা সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো আচরণ করছে। এসব কারণেই সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১) অনুযায়ী দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অধীনস্থ সব সংগঠন গণমাধ্যম, অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলনসহ যেকোনো ধরনের প্রচার-প্রচারণা ও কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবে না।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে (শনিবার) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

Link copied!