ফের সীমান্ত বিরোধে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে। আজ সোমবার ভোরের দিকে থাইল্যান্ডের বিমান বাহিনী কম্বোডিয়ার চং এন মা পাস এলাকায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এটি কম্বোডিয়ার সামরিক শক্তি প্রতিরোধ ও সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশে করা হয়েছে বলে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
রয়্যাল থাই বিমান বাহিনীর (আরটিএএফ) এয়ার মার্শাল জ্যাকক্রিট থাম্মাভিচাই বলেছেন, ‘আমাদের অভিযান কেবল সামরিক অবকাঠামো, অস্ত্রাগার, কমান্ড সেন্টার ও লজিস্টিক রুটকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে। সব কার্যক্রম আন্তর্জাতিক আইন এবং নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুযায়ী করা হয়েছে। বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছে।’
আরটিএএফের মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে থাইল্যান্ডের নাগরিক ও কর্মীদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য অভিযানটি পরিচালনা করা হয়েছে।
এয়ার মার্শাল থাম্মাভিচাই বলেন, ‘আমরা বেসামরিক লোকজন ও তাদের সম্পত্তির ক্ষতি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছি। আমাদের মূল লক্ষ্য আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি প্রতিরোধ করা।’
থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনীর আন্তঃবিভাগ সংযোগ দপ্তরের প্রধান মেজর জেনারেল উইনথাই সুভারি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘গত রোববার কম্বোডিয়ার হামলায় আমাদের একজন সেনা নিহত ও দু’জন আহত হয়েছেন। তার জবাবে আমরা বিমান হামলা চালিয়েছি। হামলার লক্ষ্য ছিল কম্বোডিয়ার অস্ত্রাগার, যেখানে মূলত আর্টিলারি ও মর্টার মজুত রয়েছে, যা আমাদের সেনাবাহিনী ও বেসামরিক নাগরিকদের বিপন্ন করতে পারে।’
অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনীও জানিয়েছে, সোমবার ভোর ৫টা ৪ মিনিটে তাদের সামরিক স্থাপনা ও সৈন্যদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। কম্বোডিয়ার সেনা বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, ‘সীমান্তে গত বেশ কিছুদিন ধরে থাই সেনারা বিভিন্ন উসকানিমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে। সোমবারের বিমান হামলাও এরই অংশ।’
এ পর্যন্ত হামলায় কম্বোডিয়ার ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন