মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম

ঈদে যাত্রীপ্রতি ২০০ টাকা বাড়তি ভাড়া চান বাসমালিকরা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৫, ০৭:৪৫ পিএম

ঈদে যাত্রীপ্রতি ২০০ টাকা বাড়তি ভাড়া চান বাসমালিকরা

রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ঈদকে সামনে রেখে অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি-সংগৃহীত

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে যাত্রীপ্রতি ২০০ টাকা বাড়তি ভাড়া দাবি করেছেন বাস মালিকরা।

তাদের দাবি, ঈদের সময় যাত্রীরা একমুখী হওয়ায় ফেরার পথে বাসগুলো যাত্রীশূন্য থাকে। এতে লোকসান হয়। অতিরিক্ত খরচ মেটাতে এই বাড়তি ভাড়া প্রয়োজন।

সোমবার (১২ মে) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত অংশীজন সভায় এ দাবি জানান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা।

সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলম বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া না নেওয়ার বিষয়ে প্রতিটি টার্মিনালে মালিক, শ্রমিক সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। এ জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু প্রকৃত বিষয় হলো— ঈদে একমুখী যাত্রী হয়ে যায়। আমাদের হিসাব হচ্ছে বাসে যদি ৭৫ শতাংশ যাত্রী হয়, সে ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ লাভ হয়। 

তিন বলেন, ‘ফেরার পথে ২৫ শতাংশ যাত্রী হলেও তাতে লস হয়। এ কারণে সব নির্দেশনা দেওয়ার পরও ওই সময়ে এই কাজ (অতিরিক্ত ভাড়া আদায়) করা হয়ে থাকে। যেমন- একমুখী যাত্রার বিষয়ে বিমান বেশি ভাড়া নিয়ে খরচ পুষিয়ে থাকে। আমরা সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব দিয়েছি ঈদের বিশেষ দিনগুলোতে যদি বাড়তি ভাড়া ধরে দেওয়া যায়, তাহলে এটি রোধ করা সম্ভব হবে।’

সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি এম এ বাতেন বলেন, আমরা চেয়েছি ঈদের আগে ৭ দিন ও ঈদের পরে ৭ দিন যাত্রীপ্রতি ২০০ টাকা। স্থায়ী ভাড়া বৃদ্ধির কোনো বিষয় এখানে রাখিনি।

তিনি বলেন, কোনো বাস যদি ঢাকা থেকে যাত্রী বোঝাই করে খুলনা নিয়ে যায়, তবে আসার সময় একজন যাত্রীকেও আনতে পারে না। সে ক্ষেত্রে যদি আমাদের এমন লস দিতে হয়, তাহলে একটি বাস ঈদের আগে যাবে। ঈদের পরে ছাড়া আসতে পারবে না, যদি এটি কনসিডার করা না হয়।’

বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ময়মনসিংহসহ অনেক রুটে ঈদের সময়ও উভয়মুখী যাত্রী হয়। এ বিষয়ে একটি সমীক্ষার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি।

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে সড়ক উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে জানানো হয়, ‘গত ঈদুল ফিতরে পর্যবেক্ষণে আমরা দেখেছি কোন পরিবহন কত টাকা ভাড়া নিয়েছে। আমাদের কাছে সেগুলোর লিস্ট আছে। আপনি চাইলে সেগুলো সরবরাহ করতে পারব। আমরা দেখেছি, নন-এসি বাসের ক্ষেত্রে ১০-৩০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া নিয়েছে পরিবহনগুলো। ভাড়ার চার্টের সঙ্গে আমরা তুলনা করেছি। কিন্তু এসি বাসের ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা না থাকায় এটার কোনো বাঁধ ছিল না। আমরা দেখেছি, এসি বাসে ৫০-১০০ শতাংশ ভাড়া বেশি নিয়েছে তারা।’

এ বিষয়ে পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ভাড়ার বিষয়টি আমরা ঈদের পরে দেখব।

সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক, সেতু সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম প্রমুখ।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!