শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম

চৌহালীতে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

চৌহালীতে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার স্থল ইউনিয়নের ডিলার হাসান আলীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ জানিয়েছে স্থানীয়রা। জানা যায়, দীর্ঘ এক বছর ধরে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস ও তদারকি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে হতদরিদ্রদের বরাদ্দকৃত চাল কালোবাজারে বিক্রি করে আসছেন তিনি।

এদিকে মাস্টাররোলে নামসহ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডেও নাম থাকা সত্ত্বেও এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ১৫ টাকা কেজি দরে খাদ্যবান্ধবের চাল পাননি সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনাপারের একাধিক হতদরিদ্র উপকারভোগী।

বিষয়টি জেনে তদারকি (ট্যাগ) অফিসারের কাছে ভিড় জমিয়েছেন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডধারী একাধিক হতদরিদ্র মানুষ। তাদের দাবি, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর তারা কোনো চাল পাননি। তবে বিগত দিনে চাল বিতরণের মাস্টাররোলে এসব কার্ডধারীদের নাম রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদারকি কর্মকর্তা মামুন সিরাজ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৫৮৭ কার্ডধারী উপকারভোগীর জন্য ৫৮৭ বস্তা চাল বরাদ্দ পান ডিলার হাসান আলী। প্রতিজন কার্ডধারীকে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু তিনি কিছু চাল বিতরণ করে বাকিগুলো কালোবাজারে বিক্রি করে দেন।

মাস্টাররোলে নাম থাকা অনেকেই বলেন, ‘আমরা অনেকেই জানি না আমাদের নামে কার্ড আছে।’

এ বিষয়ে অভিযোগকারীরা বলেন, ‘আমাদের কার্ড আছে। কিন্তু এক বছর ধরে আমাদের কোনো চাল দেওয়া হয়নি।’

সন্তোষা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, দিঘলবাড়ি গ্রামের আলেক চান, ফলসাটিয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ, নওহাটা গ্রামের কোরবান আলীও এক বছরে কোনো চাল পাননি বলে জানান।

নওহাটার গোলজার শেখ কয়েক মাস আগে মারা গেছেন। মাস্টাররোলে তার নামেও চাল উত্তোলন দেখানো হয়েছে। তার ছেলের বউ রুমা খাতুন বলেন, ‘আমার মৃত শ্বশুরের নামে চাল কে উত্তোলন করছে, আমরা জানি না।’

নয়াপাড়া গ্রামের মোছা. শাফি খাতুন তিন বছর ধরে নারায়ণগঞ্জে থাকলেও তার নামে কার্ড করা হয়েছে এবং চাল উত্তোলন করা হচ্ছে।

এদিকে ২৪ থেকে ২৬ আগস্ট ৫৮৭ বস্তার মধ্যে ২৯০ বস্তা চাল বিতরণ করেছেন ডিলার হাসান আলী। বাকি চাল বিতরণ না করেই মাস্টাররোল তৈরি করেছেন।

দায়িত্বপ্রাপ্ত তদারকি (ট্যাগ) অফিসার মামুন সিরাজ জানান, ‘১১ আগস্ট ট্যাগ অফিসার হিসেবে আমাকে নিযুক্ত করা হয়। আমি ২৪ থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত নিজে উপস্থিত থেকে ২৯০ বস্তা চাল বিতরণ করেছি। দ্বিতীয় চালানে অবশিষ্ট চাল উত্তোলনের পর বিতরণের কথা থাকলেও আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। পরে ডিলার মাস্টাররোলে স্বাক্ষর চাইলে আমি আপত্তি জানাই এবং বিষয়টি ইউএনওকে অবগত করি।’

তবে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে ডিলার হাসান আলী বলেন, ‘আমি নিয়ম অনুযায়ী যাদের কার্ড আছে তাদের চাল দিয়েছি।’

চৌহালী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘চাল বিতরণে অনিয়মের বিষয়ে তদারকি অফিসার অভিযোগ করেছেন। ইউএনও তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।’

এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুস্তাফিজুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
 

Link copied!