সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় প্রেমিকার বাড়ি থেকে মিজানুর রহমান (২০) নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার বাদশাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
শুক্রবার (২৩ মে) সকালে উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। মিজানুর ওই ইউনিয়নের মোদাহরপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে।
এলাকাবাসী ও মিজানুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার মোদাহরপুর গ্রামের মিজানুরের সঙ্গে তার আপন মামতো বোন এসএসসি পরীক্ষার্থী বিউটি আক্তারের (১৭) দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি মেয়ের পরিবার মেনে নিতে রাজি ছিল না। গত ২-৩ দিন আগে ছেলের নামে থানায় একটি অভিযোগ করে মেয়ের পরিবার। বিষয়টি নিয়ে মর্মাহত ছিলেন মিজানুর।
শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে মামার বসতঘরের বারান্দায় বাঁশের বর্গার সঙ্গে শাড়ি পেঁচিয়ে তার গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মিজানুরকে দেখতে পান কলেজছাত্রের ফুফু ঝুমঝুমা (৩০)। ফুফু ঝুমঝুমা পরিবারের সদস্যদের জানালে পরিবারের লোকজন ছুটে গিয়ে মিজানুরের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফরিদ খোকাকে জানানো হলে তিনি পুলিশে খবর দেন। সংবাদ পেয়ে ধর্মপাশা থানা পুলিশের এসআই মো. পারভেজ ভূঁইয়া ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সোয়া নয়টার দিকে লাশটি উদ্ধার করেন।
মিজানুরের বড় ভাই অপু (২৫) বলেন, ‘আমার ছোট ভাই আত্মহত্যা করেনি। তাকে আমার মামা ও পরিবারের লোকজন মিলে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আমরা থানায় মামলা করব। ঘটনার পর থেকে নিহত মিজানুরের মামা ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন।’
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।’
আপনার মতামত লিখুন :