সিলেট নগরীর বালুচর নয়াবাজার এলাকার ‘কিং ফুটসাল স্পোর্টস সেন্টার’-এ সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় একদল যুবকের হামলার ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে আট জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে শাহপরান থানায় মামলাটি দায়ের করেন সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী তানভীর আহমদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. শাহরিয়ার আলম।
এর আগে বুধবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনার সূত্রপাত ‘কিং ফুটসাল স্পোর্টস সেন্টার’ ভাড়া নেওয়ার সময় নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে। সিকৃবির একদল শিক্ষার্থী এক ঘণ্টার জন্য মাঠটি ভাড়া নিয়ে খেলা শুরু করেন। নির্ধারিত সময় শেষ হলেও তারা অতিরিক্ত দেড় ঘণ্টা খেলা চালিয়ে গেলে পরবর্তী সময়ের জন্য বুকিং দেওয়া খেলোয়াড়রা আপত্তি জানান। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এ সময় স্থানীয়ভাবে পরিচিত ও একাধিক মামলার আসামি জায়গীরদার আল মামুন ওরফে ‘বুলেট মামুন’-এর নেতৃত্বে একদল যুবক এসে শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে শিক্ষার্থীদের মারধর করে এবং স্পোর্টস সেন্টারের অফিসকক্ষও ভাঙচুর করে। সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন আহত হন, যাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নামে পরিচিত এবং হামলার সময় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিচ্ছিলেন। আহত শিক্ষার্থী রাকিব, রুবেল ও মাহি জানান, হামলার নেতৃত্ব দেন ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী বুলেট মামুন।
ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং একজন হামলাকারীকে শিক্ষার্থীরা ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন।
এসএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ‘বুলেট মামুনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি কোনো সাংগঠনিক পদে না থাকলেও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে অতীতে যুক্ত ছিলেন।’
এসএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত চলছে। যারা দোষী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :