সিলেটের বালাগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ছিনিয়ে নেওয়া আসামিকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের মাদ্রাসা বাজার এলাকায়। তবে ঘটনাটি জানাজানি হলেও স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের চাপের কারণে শুরুতে পুলিশ তথ্য প্রদানে অনীহা দেখায় বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বালাগঞ্জ থানায় দায়ের করা একটি মামলায় শিওরখাল গ্রামের ইউনুছ খানের ছেলে ফুজায়েল আহমদ খান সাজু (৩৫) আদালত কর্তৃক দুই বছরের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানার দণ্ডে দণ্ডিত হন। সাজু বর্তমানে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর দায়েরকৃত মামলাটির (মামলা নং-৬) রায়ে সাজু পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে মাদ্রাসা বাজার ব্রিজের ওপর থেকে পুলিশ সাজুকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পরায়। এ সময় তিনি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করলে তার ভাই ও একাধিক মামলার আসামি যুবলীগ নেতা রাজু এবং আরও ১০-১২ জন মিলে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে সাজুকে ছিনিয়ে নেয়।
হামলায় এএসআই কানন কুমার দাসসহ অন্তত পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে মারাত্মক জখম অবস্থায় চিকিৎসা নিতে হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
বালাগঞ্জ থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন আহমদ ভূঁইয়া, ওসি (তদন্ত) ফয়েজ আহমদ এবং সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) আশরাফুজ্জামান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযানের নেতৃত্ব দেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ছিনিয়ে নেওয়া আসামিকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া সম্ভব হয়।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান জানান, ‘আসামি ফুজায়েল আহমদ খান সাজুকে শুক্রবার (৮ আগস্ট) আদালতে সোপর্দ করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা ও আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :