ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫

লুট হওয়া ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৫, ১১:২২ এএম
সাদাপাথর এলাকা ও ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে উদ্ধারকৃত পাথর প্রতিস্থাপন করা হয়। ছবি- সংগৃহীত

সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র সাদা পাথর থেকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে রাতভর অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও যৌথবাহিনী।

ধলাই নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থান থেকে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে এবং পুনরায় সাদা পাথর এলাকায় প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) রাত ১২টার পর থেকে অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহার জানান, পাথর লুটের ঘটনায় ৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। যৌথবাহিনীর সহায়তায় রাতভর অভিযান চালিয়ে উদ্ধারকৃত পাথর পুনঃপ্রতিস্থাপন করা হয়।

এর আগে সন্ধ্যায় সিলেট বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সার্কিট হাউজে জরুরি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় লুট হওয়া পাথর উদ্ধারের পাশাপাশি সাদা পাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথবাহিনী দায়িত্ব পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অভিযানের সময় ধলাই নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে সাদাপাথর থেকে চুরি করা স্তূপীকৃত পাথর জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের এয়ারপোর্ট এলাকায় এবং সিলেট ক্লাবের সামনে যৌথবাহিনী চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চালায়। অভিযানে বেশ কয়েকটি ট্রাক আটক করা হয় এবং পাথর জব্দ করা হয়।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং লুট করা পাথর উদ্ধার অব্যাহত থাকবে।

গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে সাদাপাথর ভোলাগঞ্জ রেলওয়ে বাঙ্কার এলাকায় পাথর লুটপাট শুরু হয়। প্রশাসনের তৎপরতায় কিছু সময় লুটপাট বন্ধ থাকলেও গত মাসের শেষ দিকে পুনরায় বেড়ে যায়। মাত্র কয়েকদিনে পর্যটনকেন্দ্রটি লন্ডভন্ড হয়ে যায়।

এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনসহ কয়েকজন স্থানীয় নেতার পদ স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া লুটপাটে দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দেরও সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।