কাতারের মধ্যস্থতায় বন্দি একজন মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। এক ব্রিটিশ দম্পতিকে মুক্তি দেওয়ার এক সপ্তাহ পর রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) এই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিল তালেবান। তালেবান সরকারের বিবৃতিতে মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে আমির আমিরি নামে শনাক্ত করা হয়েছে। ওয়াশিংটনের জিম্মিবিষয়ক বিশেষ দূত অ্যাডাম বোহেলারের কাছে আমিরকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বোহেলার চলতি মাসের শুরুতে তালেবান সরকারের সঙ্গে বন্দি বিনিময়ের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য কাবুল সফর করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেশটির সরকারি নাম ব্যবহার করে জানিয়েছে, ‘আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাত আজ আমির আমিরি নামে এক মার্কিন নাগরিককে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে।’ বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ‘আফগানিস্তান সরকার নাগরিকদের সমস্যাগুলো রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে না এবং কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করে।’
আমিরকে মুক্তির বিষয়ে অবগত একজন কর্মকর্তা বলেন, ৩৬ বছর বয়সি আমিরি ‘২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে আফগানিস্তানে আটক ছিলেন।’ এ ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কাতারের দোহায় আমিরি কিছুক্ষণের জন্য থামবেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আমিরির মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তাকে আফগানিস্তানে ‘ভুলক্রমে আটক’ করা হয়। আমিরিকে মুক্ত করতে সাহায্য করার জন্য কাতারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। রুবিও এক্সে লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে বিদেশে অন্যায়ভাবে আটক প্রতিটি মার্কিন নাগরিক দেশে ফিরে না আসা পর্যন্ত আমরা থামব না।’
এর আগে জানুয়ারিতে একজন আফগান যোদ্ধার বিনিময়ে দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ওই আফগান যোদ্ধার নাম খান মোহাম্মদ। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাদক-সন্ত্রাসবাদের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।
বোহলারের মার্চ মাসে কাবুল সফরের সময় দুই বছরেরও বেশি সময় আটক থাকার পর আরেক মার্কিন নাগরিক এয়ারলাইন মেকানিক জর্জ গ্লেজম্যানকে মুক্তি দেওয়া হয়। মাহমুদ হাবিবি নামে আরও এক মার্কিন নাগরিক আফগানিস্তানে বন্দি রয়েছে। তাকে খুঁজে বের করার তথ্যের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাঁচ মিলিয়ন ডলার পুরষ্কার ঘোষণা করছে। তবে তালেবান কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালে তার নিখোঁজের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।